প্রকাশিত হল নিট ইউজি (ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট – আন্ডারগ্র্যাজুয়েট)-র ফল। চলতি বছর ৪ মে নিট ইউজি-র আয়োজন করা হয়েছিল। দেশ এবং বিদেশের মোট ৫৬৬টি শহরে পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৫৪৬৮টি। পরীক্ষা শেষের এক মাস ১০ দিনের মাথায় শনিবার ফল ঘোষণা করল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)। চলতি বছর ২২ লক্ষেরও বেশি পড়ুয়া এই পরীক্ষায় বসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১২ লক্ষ ৩৬ হাজারের বেশি।
নিটের মেধাতালিকার শীর্ষে থাকা ১০ জনের মধ্যে চারজনই রাজস্থানের। মহেশ কুমার গোটা দেশে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। প্রথম ২০-তে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রয়েছেন দু’জন। ষোড়শ স্থানে রচিত সিংচৌধুরি এবং ২০-তম স্থানে রূপায়ন পাল। এ ছাড়াও ৬৭-তম স্থানে রয়েছেন আর এক বাঙালি, অনীক ঘোষ। সার্বিক মেধাতালিকার নিরিখে, মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন দিল্লির অভিকা আগরওয়াল। তাঁর সর্বভারতীয় র্যাঙ্ক পঞ্চম। মেয়েদের মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছেন দিল্লির আশি সিং।
২০২৫-এ নিট পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছিলেন ২২ লক্ষ ৭৬ হাজার ৬৯ জন। পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২২ লক্ষ ৯ হাজার ৩১৮ জন। পুরুষ এবং মহিলা পরীক্ষার্থী ছিলেন যথাক্রমে ৯ লক্ষ ৬৫ হাজার ৯৯৬ এবং ১৩ লক্ষ ১০ হাজার ৬২ জন। এছাড়া, রূপান্তরকামী পরীক্ষার্থী ছিলেন ১১ জন।
রাজস্থানের শিকারের একটি বেসরকারি কোচিং ইনস্টিটিউট থেকে পড়াশোনা করেছেন এই বছর দেশের সেরা মহেশ কুমার। তিনি বলেন, ‘আমি কখনও ভাবিনি যে দেশে প্রথম হব। তবে হ্যাঁ, আমি এটা বিশ্বাস করতাম যদি কঠোর পরিশ্রম সততার সঙ্গে করা হয়, তাহলে কোনও লক্ষ্যই অসম্ভব নয়। আমার এই সাফল্যের কৃতিত্ব বাবা-মা, শিক্ষক এবং কোচিং ইনস্টিটিউটের।’
সারা দেশে ২০-তম স্থানে রয়েছেন বর্ধমানের রূপায়ণ পাল। ৭২০ নম্বরের মধ্যে রূপায়ণের প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৬। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৫০০-র মধ্যে ৪৯৭ পেয়ে রাজ্যে প্রথম হয়েছিলেন রূপায়ন। এইমসে ভর্তি হতে চান রূপায়ন। রূপায়ণ জানান, ধারাবাহিক অধ্যাবসায় এবং রিভিশন, এই দুই মন্ত্রেই বাজিমাত করেছেন তিনি। দ্বাদশে পড়ার সময়েও নিয়মিত একাদশ শ্রেণির বইপত্রও পড়তেন তিনি। নিয়মিত মক টেস্ট দিতেন বলেও জানিয়েছেন রূপায়ন।