সাইবার ক্রাইম বা ভুয়ো ফোন কলের চক্রে পড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার ঘটনা হামেশাই ঘটে চলেছে। এবার চাকরির প্রশ্নপত্র বিক্রির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ সামনে এলো। ৪০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সর্বভারতীয় ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট)-এর প্রশ্নপত্র বিক্রির টোপ দিয়ে টাকা হাতানো। এই অভিযোগে তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল রাজস্থান পুলিশ। ধৃতদের নাম বলওয়ান, হরদাস এবং মুকেশ মীনা।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই অভিযুক্তরা প্রশ্নপত্রের টোপ দিয়ে প্রতারণার ছক কষেছিলেন। সেই ফাঁদে পড়েন এক নিট পরীক্ষার্থী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ওই পরীক্ষার্থীকে প্রস্তাব দেন, তাঁদের কাছে নিটের প্রশ্নপত্র রয়েছে, সেটি পেতে গেলে ৪০ লক্ষ টাকা দিতে! তাঁদের প্রতারণার ফাঁদে পা দেন ওই পরীক্ষার্থী ও তাঁর পরিবার। প্রতারকরা তাঁদেরকে গুরুগ্রামে ডেকে পাঠান। প্রশ্নপত্র পেতে সেখানেই টাকা দেন তাঁরা। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর বেপাত্তা। দেওয়া হয়নি কোনও প্রশ্নপত্র। এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা।
ওই পরীক্ষার্থীর পরিবারের দাবি, তাঁরা যখন অভিযুক্তদের কাছে প্রশ্নপত্রের দাবি করেন, তখন অভিযুক্তরা তা দিতে অস্বীকার করেন। এরপরই ওই নিট পরীক্ষার্থীর পরিবার রাজস্থান পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করলেও এই ধরনের প্রতারণা চক্রের ফাঁদে না পড়ার পরামর্শও দিচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, প্রসঙ্গত রবিবারই সারা দেশে অনুষ্ঠিত হল নিট ইউজি। তার আগেই প্রকাশ্যে এলো প্রশ্নপত্র নিয়ে জালিয়াতির ঘটনা। তবে নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা প্রথম নয়। অতীতেও একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। চলতি বছরের শুরুতেও নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনা রুখতে কড়া পদক্ষেপ করে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)। এজন্য একটি বিশেষ পোর্টাল চালু করা হয়েছে। এনটিএ জানিয়েছে, পরীক্ষায় জালিয়াতির মতো ঘটনা ঘটলে বা এইধরনের কর্মকাণ্ড নিয়ে কোনও রকমের সন্দেহ হলেই সেই পোর্টালে অভিযোগ জানানো যাবে।