• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

বাঙালিদের মন পেতে অষ্টমীতে সিআর পার্কে মোদী

এবার দুর্গাপুজোয় দিল্লির 'মিনি কলকাতা' চিত্তরঞ্জন পার্কের কালীবাড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পুজো দেবেন বলে খবর।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

বাংলার বাইরেও দিল্লিতে যথেষ্ট জাঁকজমকপূর্ণ দুর্গা পুজো হয়। এবার দুর্গাপুজোয় দিল্লির ‘মিনি কলকাতা’ চিত্তরঞ্জন পার্কের কালীবাড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পুজো দেবেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, অষ্টমীর সন্ধ্যায় পুজো দেবেন মোদী। বাঙালিদের মন পেতে মরিয়া মোদী। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক আধিকারিক শনিবার জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী পুজোয় কালীবাড়িতে যাবেন। প্রথমে কথা ছিল, ষষ্ঠীর দিন পুজো দেবেন মোদী। পরে প্রধানমন্ত্রীর সেই অনুষ্ঠানসূচি বাতিল হয়ে যায়। এসপিজি, দিল্লি পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেড হাজির হয়ে চিত্তরঞ্জন পার্কের কালীমন্দিরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কর্মকর্তারা জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী ষষ্ঠীর দিনই অর্থাৎ রবিবারই প্রধানমন্ত্রী দর্শন করতে আসতে চান’। তাঁদের প্রোটোকল অনুযায়ী সব ব্যবস্থাপনা করে অবশেষে আজ সকালে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অষ্টমীর দিন দর্শন করতে ও পুজো দিতে আসবেন। এই দু’দিন ধরে ব্যবস্থার তোলপাড় হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ যথেষ্ট অসন্তুষ্ট।

দুর্গাপুজোয় এই চিত্তরঞ্জন পার্ক কলকাতা থেকে কোনও অংশে কম যায় না। কলকাতার মতো এবারের পুজোতেও চিত্তরঞ্জন পার্কের তিনটি পুজো ৫০ বছর অর্থাৎ সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছে। বি ব্লক পুজো কমিটির থিম, ‘স্বর্ণবর্ষে মাটিই খাঁটি’। ‘মাটিই উৎস’, এই ভাবনাকে মাথায় রেখে পুজোমণ্ডপ জুড়ে থাকছে মাটির ছোঁয়া। সাজসজ্জাতেও তাই আলাদা করে তৈরি হয়েছে পাটের দুর্গা প্রতিমা। বি ব্লকের প্রতিমার থিম এবার ‘নবদুর্গা’, থাকবে বিশেষ গ্যালারিও। পুজো কমিটির বিগত ৫০ বছরের সফরের দৃশ্যপট সাজানো হয়েছে এখানে। পুজো কমিটির সম্পাদক আশিস সোম জানালেন, সর্বক্ষণ মন্ডপে জ্বলবে পঞ্চাশ হাজার মাটির প্রদীপ, ভোগ বিতরণ করা হবে মাটির থালায়।

Advertisement

দ্বিতীয় পুজো কমিটি, কোঅপারেটিভ গ্রাউন্ডের সুবর্ণ জয়ন্তীর থিম, ‘সত্যজিৎ রায়ের সোনার কেল্লা’, কিছুটা নস্টালজিয়াও বটে। তৃতীয় পুজো কমিটি, মেলা গ্রাউন্ডের থিম, ‘মহিষাদল রাজবাড়ি’, ৫০ বছরেও সাবেকিয়ানাকে বজায় রাখা। পকেট ৪০ এবং কে ওয়ান-এর পুজো এবার ৩৩ বছর। পুজোর থিম, দুর্গামায়ের নববধূ সাজ, মণ্ডপে কুল, আলপনা, গাছকৌটো ইত্যাদি দিয়ে সাজানো হয়েছে। দিল্লির পুজোর একটা বড় আনন্দ, সবাই মিলে একসঙ্গে দুপুরে ভোগ খাওয়া ও বিতরণ করা হয়। বেশিরভাগ বাড়িতেই পুজোর চারদিন কমপক্ষে দুপুরে তো রান্না হয় না এবং রাত্রেও বেশিরভাগ বাঙালিরা মণ্ডপের স্টল থেকে খাবার খান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

Advertisement

চিত্তরঞ্জন পার্কের মধ্যে মোট দশটি পুজো, সেখানে এবার পুজোতে একে অপরকে টেক্কা দিতে ব্যস্ত। এছাড়া, প্যাটেলনগরের পুজোয় পালন করা হচ্ছে হীরক জয়ন্তী। বেলুড়মঠের আদলে দিল্লির পাহাড়গঞ্জে রামকৃষ্ণ মিশনের দুর্গাপুজো এবার তৃতীয় বছর। রামকৃষ্ণ মিশনের শতবর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতিও চলছে।

এবার চিত্তরঞ্জন পার্কের পুজো দেখতে ভিড় উপচে পড়ছে পঞ্চমীর দিন থেকেই। তার অন্যতম কারণ, এই বছর দিল্লির অনেক জায়গায় পুজো মণ্ডপে থাকা খাবার স্টল নিয়ে চলেছে টান-টান উত্তেজনা। বিজেপির বিধায়করা অনেক জায়গায় আমিষ খাবার না রাখতে হুমকি দিয়েছেন। তাই দিল্লির অন্যান্য জায়গা থেকে আমিষ খাবার বিক্রি করার ব্যবসায়ীরা চিত্তরঞ্জন পার্কে এসে ভিড় করেছে।

Advertisement