মহারাষ্ট্রে উদ্ধার কর্ণাটকের সরকারি ব্যাঙ্কে লুট হওয়া ৪১ লক্ষ টাকা এবং ৬ কেজি সোনার গয়না। গত মঙ্গলবার কর্ণাটকের এসবিআই ব্যাঙ্ক থেকে লুট করা হয় নগদ ২১ কোটি টাকা এবং সোনার গয়না। সেই ডাকাতি হওয়া টাকা আর গয়নার খোঁজ মিলল প্রতিবেশী রাজ্য মহারাষ্ট্রে। ডাকাতির পর দুষ্কৃতীরা সেখানে পালিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, সোলাপুরেরে হুলজন্তী গ্রামের এক বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হয় সাড়ে ৬ কেজি সোনা এবং ৪১ লক্ষ নগদ টাকা।
সোলারপুরে দুষ্কৃতীরা লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর ছিল কর্ণাটকের বিজয়পুরা পুলিশের কাছে। এর পরেই পুলিশের একটি দল বিজয়াপুরা থেকে সোলারপুরে পাড়ি দেয়। পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রামের এক বাড়ির ছাদ থেকে ১৩৬টি প্যাকেট উদ্ধার করে। সেই প্যাকেটগুলো থেকেই উদ্ধার হয় বান্ডিল বান্ডিল নোট এবং সোনার গয়না।
Advertisement
এক সন্দেহভাজন হুলজন্তী গ্রামে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলে খবর যায় পুলিশের কাছে। এরপর গ্রামবাসীদের সঙ্গে বচসাও বাধে ওই ব্যক্তির। গাড়ি এবং লুটের জিনিস গ্রামে ফেলেই পালায় সন্দেহভাজন। পরে পুলিশ গিয়ে ওই সব টাকা এবং গয়না উদ্ধার করে।
Advertisement
গত সপ্তাহে কর্ণাটকের চড়াচনের এসবিআই ব্যাঙ্কে প্রায় ২১ কোটি টাকার ডাকাতি হয়। সোনার গয়না এবং নগদ এক কোটি টাকাও লুট করে চম্পট দেয় ডাকাতদল। সেনার পোশাকে মুখোশ পরে ব্যাঙ্কে ঢুকেছিল তিন ডাকাত। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার এবং কর্মীদের শৌচাগারে বেঁধে রাখা হয়। এর পর চলে লুটপাট। ভুয়ো নম্বরপ্লেট লাগানো গাড়ি নিয়ে ডাকাতি করতে এসেছিল বলে জানতে পারে পুলিশ।
লুটপাটের পর সেই গাড়িতেই পান্ধারপুরের দিকে রওনা দেয় ডাকাতদল। পথে সোলাপুর জেলায় ডাকাতদের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। স্থানীয়দের সঙ্গে ঝামেলাও বাধে তাদের। ডাকাতদলকে ধরতে আটটি দল গঠন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বিজয়পুর পুলিশ সুপার লক্ষ্মণ নিমবার্গি।
Advertisement



