• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

মণিপুর যাচ্ছেন মোদী, শান্তি ফেরাতে হবে দুটি চুক্তি স্বাক্ষর

অবশেষে মণিপুর সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের এই সফরকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

বহু বিতর্ক ও বিরোধীদের চাপের পর অবশেষে মণিপুর সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের এই সফরকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মে ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া ভয়াবহ সহিংসতায় এখনও পর্যন্ত একাধিক প্রাণহানি ঘটেছে। ভিটেমাটি ছেড়ে গৃহহীন হয়েছেন বহু মানুষ। বিরোধীরা বারবার দাবি জানিয়ে আসছিলেন, প্রধানমন্ত্রীকে নিজে মণিপুরে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হবে। এবার সেই সফরের আগেই রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুটি চুক্তি করেছে কেন্দ্র।

প্রথম চুক্তি হয়েছে কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (কেএনও) ও ইউনাইটেড পিপলস ফ্রন্ট (ইউপিএফ)-এর সঙ্গে। এদের অধীনে অন্তত ২৪টি ছোট-বড় গোষ্ঠী সক্রিয়। এই চুক্তি ‘সাসপেনশন অফ অপারেশনস’ বা এসওও এগ্রিমেন্ট নামে পরিচিত। ২০০৮ সাল থেকেই কার্যকর এই চুক্তির মেয়াদ বারবার বাড়ানো হয়েছে। তবে ২০২৩ সালের মার্চে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং কুকি ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) এবং জোমি রিভোলিউশনারি আর্মির সঙ্গে এই চুক্তি বাতিল করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, এই সংগঠনগুলি আন্দোলনকে উস্কানি দিচ্ছে। ফলত মে মাসে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেয়। এ বার আবারও কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপে নতুন করে এসওও কার্যকর করা হয়েছে।

Advertisement

দ্বিতীয় চুক্তি হয়েছে জাতীয় সড়ক ২ (এনএইচ-২) খোলার বিষয়ে। ইম্ফল ও নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরকে সংযুক্ত করা এই সড়ককে মণিপুরের লাইফলাইন বলা হয়। কুকি-জো কাউন্সিলের সঙ্গে হওয়া এই চুক্তির ফলে রাস্তা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের দাবি, এই পদক্ষেপ রাজ্যের সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেবে। সেই সঙ্গে যাতায়াত ও রসদ পরিবহণ সহজ হবে।

Advertisement

তবে এই চুক্তি নিয়ে আপত্তি তুলেছে মৈতেই সম্প্রদায়ের সিভিল সোসাইটিগুলি। তাঁদের অভিযোগ, কুকি উগ্রবাদীদের সঙ্গে আপস মানে মণিপুরের ভৌগোলিক অখণ্ডতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা। অন্যদিকে, কুকি সংগঠনগুলির মূল দাবি আলাদা প্রশাসন, যা মৈতেই গোষ্ঠী মেনে নিতে রাজি নয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, কুকি সংগঠনগুলিকে সংবেদনশীল এলাকা থেকে সাতটি শিবির সরিয়ে নিতে হবে এবং অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। তবে চুক্তির মেয়াদ চলাকালীন তাঁদের উপর সেনা অভিযানের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নজরদারি জারি থাকবে।

প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে। মিজোরাম সীমান্তবর্তী কুকি-অধ্যুষিত অঞ্চলকে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, মোদীর এই সফর মাত্র তিন ঘণ্টার হবে। এই নিয়ে কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছে, মণিপুরবাসীদের প্রতি অবমাননা করা হচ্ছে। শিবসেনার কটাক্ষ, প্রধানমন্ত্রী এই সফরকে নিছক ‘পর্যটন’ বানাচ্ছেন।

Advertisement