সমালোচনায় বিদ্ধ মোদি সরকার, গ্রেফতার ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি

আজ দুই দিন গৃহবন্দী থাকার পর সরকারিভাবে গ্রেফতার হলেন উপত্যকার দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতি।

Written by SNS New Delhi | August 6, 2019 3:00 pm

ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি (Image: Twitter/@ashoswai)

সংসদে অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকে বিরােধীদের প্রতিবাদের প্রাচীর ভেদ করে একের পর এক বিল পাশ করে চলেছে দ্বিতীয় এনডিএ সরকার। লােকসভায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা যেন বেপরােয়া করে দিয়েছে মােদির ২.০ সরকারকে। বিরােধীদের যেভাবে উপেক্ষা করা হচ্ছে তাতে কূটনৈতিক সমালােচকরা এই সরকারকে এভাবেই ব্যাখ্যা করছেন।

আজ দুই দিন গৃহবন্দী থাকার পর সরকারিভাবে গ্রেফতার হলেন উপত্যকার দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতি। সেই সঙ্গে গ্রেফতার হলেন কাশ্মীরের প্রাক্তন বিধায়ক সাজ্জাদ লােন। সােমবার ইতিহাসের বেড়া ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। আর তাতেই প্রতিবাদের ঝড় উঠল সংসদের উচ্চকক্ষে।

রাজ্যসভা থেকে বেড়িয়ে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম জানান, ‘এখন থেকে শুরু হয়ে গেল ভারতের ভাঙন’। রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে গুলাম নবি আজাদ বলেন, ‘হত্যা করা হল সংবিধানকে’। গৃহবন্দী থাকার কারণে প্রকাশ্যে আসতে পারেননি জম্মু-কাশ্মীরের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল পিডিপি এবং এনসি’র প্রধান মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লা ।

দু’জনেই টুইটে জানিয়েছেন, ভারত সরকার এক তরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কাশ্মীরের স্বাধীনতা জোর করে কেড়ে নেওয়া হল। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যসভার বিরােধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, ‘আমি ভাবতে পারছি না ভারতের মাথা থেকে মুকুট কেড়ে নেওয়া হল। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে লঘু করে দেখান হল। এটা লজ্জার বিষয়। রাজ্যর মর্যাদা কেড়ে নিয়ে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতে দেওয়া হল ক্ষমতা। সংবিধানকে হত্যা করা হল’।

আজ পি চিদম্বরম সমালােচনা করে বলেন, ‘সংবিধানের ইতিহাসে কালাে দিন। সরকার যা করেছে তা অভূতপূর্ব। এটা যদি জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে হয় তাহলে দেশের অন্য রাজ্যগুলির সঙ্গেও হতে পারে। চিদম্বরমের ব্যাখ্যা, ‘প্রথমে রাজ্যের নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়া হবে। তারপর রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে। বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হবে। বিধানসভার ক্ষমতা সংসদের হাতে যাবে। সরকার সংসদে প্রস্তাব আনবে সেটাকে সংসদ অনুমােদন দেবে এবং রাজ্যটা আর থাকবে না’।

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন সংসদে বিল পাশের পর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বিলের প্রতিলিপি সাংসদরা পাওয়ার পর তার ওপর সমালােচনা বা সংশােধনী আনার সময় দেওয়া হল? কেন্দ্র সরকারের বিরােধীতা করে আজ কক্ষ ত্যাগ করে জেডি (ইউ)।