• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

শাহের ‘আম্বেদকর’ মন্তব্য তীব্র নিন্দা মমতার

সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বলছেন, ‘সংসদে যখন সংবিধানের ৭৫ বছর উদযাপন হচ্ছে, তখন অমিত শাহ অপমানকজনক মন্তব্য করে আম্বেদকরের ভাবমূর্তি নষ্টের পথ বেছে নিলেন।

বাবাসাহেব আম্বেদকরকে জড়িয়ে অমিত শাহের বিতর্কিত মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায় ‘ওদের মুখোশ খুলে গেল। ২৪০ আসন পেয়েই এভাবে আম্বেদকরকে অসম্মান করছে। ৪০০ আসন পেলে হয়তো বাবাসাহেবের সব অবদান ভুলে নতুন ইতিহাস লিখত।’ এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনছে তৃণমূল বলে জানিয়েছেন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।

মঙ্গলবার রাজ্যসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মঙ্গলবার অমিত শাহ সংসদে আম্বেদকর নিয়ে একটি বেফাঁস মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এখন একটা ফ্যাশন হয়েছে বারবার আম্বেদকর আম্বেদকর নাম নেওয়া’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই হইহট্টগোল শুরু হয় রাজ্যসভায়। অমিত শাহকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তোলা হয়।

Advertisement

অমিত শাহের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বলছেন, ‘সংসদে যখন সংবিধানের ৭৫ বছর উদযাপন হচ্ছে, তখন অমিত শাহ অপমানকজনক মন্তব্য করে আম্বেদকরের ভাবমূর্তি নষ্টের পথ বেছে নিলেন। সেটাও গণতন্ত্রের মন্দির সংসদে দাঁড়িয়ে।’ মুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, ‘এতেই ওদের বর্ণবিদ্বেষী, দলিত বিরোধী মানসিকতা স্পষ্ট বোঝা যায়। ২৪০ আসন পাওয়ার পরই ওরা এমন আচরণ করছে, ৪০০ আসনের স্বপ্ন সত্যি হয়ে গেলে হয়তো আম্বেদকরের সব অবদান ভুলে নতুন ইতিহাস লিখে দিত।’

Advertisement

অমিত শাহর মন্তব্যের পরেই কংগ্রেস সাংসদরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। শাহের পদত্যাগ চেয়ে বুধবার সকাল থেকে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভে শামিল হন তাঁরা। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘বি আর আম্বেদকরকে শাহের অপমান প্রমাণ করে দিয়েছে, বিজেপি এবং তাদের আদর্শগত ভিত্তি আরএসএস তেরঙা ও অশোক চক্রের বিরোধী।’
বুধবার সংসদের বাইরে কংগ্রেস সাংসদরা আম্বেদকরের ছবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। ‘জয় ভীম’ স্লোগানও তোলা হয়। ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে অমিত শাহর পদত্যাগের দাবিও তোলা হয়েছে। তৃণমূল সাংসদরাও শাহের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে ওয়াকআউট করেছেন। সূত্রের খবর, শাহের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দিতে চলেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।

Advertisement