তৃণমূল ও আরজেডির পর এবার কংগ্রেস-সিপিআই-সিপিএম ভোটার তালিকায় সংশোধনের নামে পরোক্ষে এনআরসির ষড়যন্ত্র চলছে বলে সরব হয়েছে। মোদী সরকারের ১১ বছর পার হলেও দেশের সামাজিক, আর্থিক অবস্থার উন্নতি না হওয়া, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বর মতো ইস্যুর সমাধানেও মোদীর ব্যর্থতা রয়েছে, রয়েছে জাতি জনগণনার ইস্যুও। বাদল অধিবেশনের আগে সংসদে কীভাবে নরেন্দ্র মোদীকে কোণঠাসা করা যায়, তারই লক্ষ্যে বিরোধীদের বৈঠক ডাকছেন সংসদ ও কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। মৃদুভাষী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সবদলেরই সম্পর্ক ভালো এবং তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাও রয়েছে সকলের।
ইদানীং দেখা গিয়েছে, রাহুল গান্ধী বা মল্লিকার্জুন খাড়্গে বিরোধীদের নিয়ে বৈঠক ডাকলে অনেক সময়ই তা সফল হয় না। বিশেষ করে যোগাযোগের ত্রুটি বা অন্যান্য কারণ দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসও বেশিরভাগ সময় এই ধরনের বৈঠক এড়িয়ে যায়। আগে কয়েকবার এমনটি হওয়ায় এবার বিরোধীদের একজোট করতে উদ্যোগী হচ্ছেন স্বয়ং সোনিয়া গান্ধী। আগামী ২১ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত।
আসন্ন বাদল অধিবেশনে কী কী ইস্যুতে বিরোধীরা একযোগে সরব হতে পারে, তার স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতেই ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকদের বৈঠক ডাকছেন সোনিয়া। বাজেট অধিবেশনের পর থেকে দেশে পহেলগাম হামলার মতো ঘটনা ঘটে গিয়েছে। প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানকে ভারতীয় সেনাবাহিনী শিক্ষা তো দিয়েছে। কিন্তু পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ছিনিয়ে আনার সুবর্ণ সুযোগ মোদী সরকার হারিয়ে ফেলেছে বলেই বিরোধীদের অভিযোগ। ভারত কেন আচমকাই সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়ে গেল? সেনাবাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির তথ্যই বা কেন গোপন করা হচ্ছে? প্রধানমন্ত্রী কেন সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে যাবতীয় ঘটনার খোলসা করছেন না?