ফের কেন্দ্রের বৈঠক অনুপস্থিত থাকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দশ রাজ্যে নকশালদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীদের আলােচনার জন্য ডেকেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই দশ রাজ্যের তালিকায় ছিল পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ছত্তীশগড়, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ছাড়া বাকি সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই উপস্থিত ছিলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন পূর্বনির্ধারিত প্রশাসনিক বৈঠক থাকায় তিনি নিজে সােমবারের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। তবে মুখ্যমন্ত্রী নিজে না থাকলেও রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে পাঠানাে হয়েছিল এদিনের বৈঠকে।
Advertisement
দশ রাজ্যে নকশাল সমস্যার বর্তমান পরিস্থিতি এবং তার মােকাবিলা নিয়ে আলােচনার জন্যই এই বৈঠক ডেকেছিলেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নকশাল তথা মাওবাদী হামলায় গােটা দেশে ১৩০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরাও আছেন। যদিও কেন্দ্রের দাবি, কংগ্রেস আমলের থেকে নাশকতা অনেক কমে গিয়েছে। আগের তুলনায় নকশাল বা মাওবাদী সমস্যাকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে।
Advertisement
এই রাজ্যে জঙ্গলমহলে কেন্দ্রীয় বাহিনির পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। মমতা জমানায় মাওবাদীদের অনেককেই মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা গিয়েছে। রাজ্যের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় উন্নয়নের ফর্মুলা কাজ করছে। যদিও লােকসভা ভােটের বাক্সে তার প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। তবে লােকসভা ভােটের মধ্যেই মহারাষ্ট্রের গড়চিরােলিতে বড় রকমের মাওবাদী হামলা হয়েছিল।
আগামীদিনে নকশাল তথা মাওবাদী উপদ্রুত অঞ্চলের ওপর কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতেই সােমবারের বৈঠক ডাকা হয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে। যেখানে অমিত শাহ স্বয়ং ওইসব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে মুখােমুখি কথা বলতে চেয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রকের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম অমিত শাহ এই ধরনের বৈঠক ডাকলেন।
Advertisement



