• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ভুবনেশ্বরে নারীপাচার এবং যৌনচক্রের হদিশ, ধৃত চার

ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে নেমে নারীপাচার এবং যৌনচক্রের হদিশ পেল পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ওড়িশার ভুবনেশ্বরের।

ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে নেমে নারীপাচার এবং যৌনচক্রের হদিশ পেল পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ওড়িশার ভুবনেশ্বরের। সম্প্রতি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ভুবনেশ্বরে। সেই ঘটনার তদন্তে শনিবার ভুবনেশ্বর পুলিশ এবং লক্ষ্মীনগর থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। একটি বাড়িতে হানা দেয় তদন্তকারীদের দলটি। অভিযোগ, ওই বাড়িটি থেকেই নারীপাচার চক্র চলছিল।

পুলিশ বাড়ির মালিক সঞ্জীবকুমার দাস (৫৪), দুই দালাল মঞ্জু শেঠি (৪৭) ও মমতা সাহু (৪২)-কে গ্রেপ্তার করেছে। পরবর্তীতে, নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে নয়াগড়ের বাসিন্দা, ২৮ বছরের অবিনাশ মুদুলিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারির পর ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ৬৫(১) ও পকসো আইনের ধারা ৬-এর অধীনে দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই বাড়ি থেকে যৌনপেশায় যুক্ত তিন মহিলাকে উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

পুলিশ কমিশনার এস দেবদত্ত সিংহ জানিয়েছেন, ‘যে হাসপাতালের সামনে কিশোরীকে আহত অবস্থায় ফেলে যাওয়া হয়েছিল, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁকে জেরা করেই লক্ষ্মীনগরের ওই বাড়িটির কথা জানা যায়। তদন্ত শুরু হতেই দেখা যায়, ওই বাড়ি থেকেই নারীপাচার এবং যৌনচক্র চালানো হচ্ছিল। ধৃতেরা কিশোরীকে জোর করেই দেহব্যবসায় নামানোর চেষ্টা করেছিলেন।’

Advertisement

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে ভুবনেশ্বরের একটি হাসপাতালের সামনে এক কিশোরীকে গুরুতর জখম এবং অচৈতন্য অবস্থায় ফেলে রেখে যাওয়া হয়। এরপর হাসপাতালের কর্মীরা তাঁকে দেখতে পান। খবর যায় পুলিশে। কিশোরীর মেডিক্যাল রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মেলায় পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই নারীপাচার এবং যৌনচক্রের হদিশ মিলেছে।

Advertisement