• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

করোনা সন্দেহে ঘরবন্দিদের হাতে ভোটের কালি দিয়ে ছাপ মেরে দিচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার

সোমবার রাতে গ্রেটার মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কমিশনার প্রবীণ প্রদেশি হাসপাতাল ও বিমান বন্দরের কর্তাদের নির্দেশ দেন, যাঁদের ঘরে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে, তাঁদের বাঁহাতে কালির ছাপ দিতে হবে।

করোনা সন্দেহে ঘরবন্দিদের হাতে ভোটের কালি দিয়ে ছাপ মেরে দিচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার (Photo: IANS)

আমাদের দেশে মহারাষ্ট্রেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত সন্দেহে ওই রাজ্যে যাঁদের কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে পালিয়ে গিয়েছেন ১৩ জন। বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত উদ্বেগে রয়েছে রাজ্য সরকার। করুণ যারা পালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে ওই রোগ। তাঁদের ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ। এরপরে কেউ পালালে যাতে সহজে চেনা যায়, সেজন্য তাঁদের বাঁ হাতে কালির ছাপ দেওয়া হবে। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপী একথা জানিয়েছে। 

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি থাকা ১৩ জন মুম্বইয়ের একটি হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা দুবাই থেকে দেশে ফিরেছিলেন। নবি মুম্বইয়ের একটি সরকারি হাসপাতালে তাঁরা ভর্তি ছিলেন। এই ঘটনার পরে রোগীদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটি নিয়েও। কারও গাফিলতি না থাকলে একসঙ্গে কী ভাবে ১৩ জন পালিয়ে গেলেন। হাসপাতাল থেকে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

Advertisement

এর আগে মহারাষ্ট্রেরই নাগপুরের একটি হাসপাতালেও একই ঘটনা ঘটেছিল। সেখান থেকে এক জন রোগী পালিয়ে গিয়েছিলেন। আরও একটি শহরের হাসপাতাল থেকেও একজন করোনা সন্দেহভাজন পালিয়েছিলেন। সেই হিসাবে রাজ্যে এটি তৃতীয় ঘটনা। 

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য দফতরের উচ্চপদস্থ কর্তারা বৈঠকে বসেন। সেখানেই কালির ছাপ দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার রাতে গ্রেটার মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কমিশনার প্রবীণ প্রদেশি হাসপাতাল ও বিমান বন্দরের কর্তাদের নির্দেশ দেন, যাঁদের ঘরে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে, তাঁদের বাঁহাতে কালির ছাপ দিতে হবে। কবে থেকে তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে, সেখানে উল্লেখ করা থাকবে। সেই কালি অন্তত ১৪ দিনের মধ্যে মুছে ফেলা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী সোমবার বলেন, কেউ কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হওয়া মানে এই নয় যে তিনি অপরাধী। তাঁদের যথাযথ চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। এ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

Advertisement