লােকসভায় পাশ সন্ত্রাস দমন আইনের সংশােধনী বিল

দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইনে সংশােধনী আবশ্যক ছিল বলে মন্তব্য করলেন দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

Written by SNS New Delhi | July 25, 2019 12:21 pm

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। (File Photo: IANS)

লােকসভায় আজ পাশ হয়ে গেল সন্ত্রাস দমন আইনের সংশােধনী বিল। দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইনে সংশােধনী আবশ্যক ছিল বলে মন্তব্য করলেন দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

মিত শাহ বলেন, জঙ্গি মােকাবিলার প্রশ্নে জাতীয় পর্যায়ের তদন্তকারী সংস্থাগুলােকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সন্ত্রাস দমন আইনের সংশােধনী করার প্রয়ােজনীয়তা ছিল।

লােকসভায় সন্ত্রাস দমন আইনে প্রয়ােজনীয় সংশােধনী নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন বিরােধীরা বেআইনি কার্যকলাপ বিরােধী আইনেও সংশােধনী আনার দাবি জানান।

বিরােধীদের সন্ত্রাস দমন আইনের সংশােধনী নিয়ে তােলা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সন্ত্রাস দমন আইনের অপপ্রয়ােগ করা হবে না। সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করার লক্ষ্যে শুধু আইনটি প্রয়ােগ করা হবে ।

তিনি বলেন, ‘বেআইনি কার্যকলাপ রদ আইন সম্পর্কিত বিলের ধারায় (সংশােধনী) বলা হয়েছে, যে কোনও ব্যক্তির সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ হলে তাকে জঙ্গি বলে উল্লেখ করতে হবে। সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার লক্ষ্যে এটা গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ’।

কংগ্রেসকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, বিরােধী দল কংগ্রেস সন্ত্রাস দমন আইনের সংশােধনী করার বিরােধিতা করেছে।

যদি ইউপিএ সন্ত্রাস দমন আইন সংশােধন করতে পারে, তাহলে এনডিএও করতে পারে। কেন্দ্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে, কিন্তু ক্ষমতায় কোন দল রয়েছে, সেটা কোনও ব্যাপার নয়। সন্ত্রাস দমনের উদ্দেশ্য পূরণই আসল লক্ষ্য’।

তিনি বলেন, ভাবাদর্শের নামে কিছু মানুষ শহরাঞ্চলে মাওবাদের প্রচার চালাচ্ছেন। সত্যি কথা বলতে কি তাদের প্রতি কেন্দ্রের শাসক দলের কোনও সহানুভূতি নেই। সন্ত্রাস দমন আইনের সংশােধনী বিলটি নিয়ে বিবেচনা করার জন্য এআইএমআইএম আসাউদ্দিন ওয়াইসি ভােটাভুটির দাবি জানালে, ২৮৭ জন সাংসদ সমর্থন জানান ও আটজন বিরােধিতা করেন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, যারা শহরে মাওবাদকে সমর্থন করেন, তাদের ভাবাদর্শকে সমর্থন করেন, তাদের প্রতি কেন্দ্রের কোনও সহানুভূতি নেই।

বামপন্থী হিংসাকে প্রাথমিকভাবে ভাবাদর্শ হিসেবে ধরে নিয়ে নিরীহ মানুষগুলােকে বিপথে চালিত করে অন্য মানুষকে হত্যা করায় উদ্বুদ্ধ করছে। সন্ত্রাস দমন আইনের মুল লক্ষ্য দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করা।

তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য রাখব যাতে আইনটির কোনও অপব্যবহার করা না হয়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির আমলে কংগ্রেস বিরােধী দলকে নিশানা করার জন্য বেআইনি কার্যকলাপ রদ আইন প্রণয়ণ করেছিল। এখন ওই দলের নেতারাই আইনটি প্রণয়ণের নেপথ্যে কি নীতি ছিল তার ব্যাখ্যা চেয়েছেন।

সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। কয়েকজন বিরােধী নেতা বলেছেন, আমরা নাকি সংশােধনী এনে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামাে ধ্বংস করে দিয়েছি। তাহলে বলতে হবে সত্যি যদি যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামাে ধ্বংস হয়ে থাকে, সেটা ইউপিএ আমলে হয়েছে। কারণ আইনটি ইউপিএ আমলে আইনটি তৈরি করা হয়েছিল। যদি কেউ সন্ত্রাস কার্যকলাপে জড়িত থাকেন, তাহলে এনআইএ তাঁর কম্পিউটার সহ একাধিক জিনিস আটক করতে পারে।