তামিলনাড়ুতে পঙ্গপালের হানা, ফসল নষ্টের আশঙ্কা চাষিদের

উত্তর ও পশ্চিম ভারতের পর এবার দক্ষিণ ভারতেও হানা দিল পঙ্গপাল। গত কয়েক দিন ধরে তামিলনাড়ুর বেশ কিছু এলাকায় পঙ্গপালের ঝাঁক দেখা গিয়েছে বলে খবর।

Written by SNS Chennai | June 1, 2020 4:17 pm

তামিলনাড়ুতে পঙ্গপালের হানা, ফসল নষ্টের আশঙ্কা চাষিদের। (Photo by Vishal Bhatnagar / AFP)

উত্তর ও পশ্চিম ভারতের পর এবার দক্ষিণ ভারতেও হানা দিল পঙ্গপাল। গত কয়েক দিন ধরে তামিলনাড়ুর বেশ কিছু এলাকায় পঙ্গপালের ঝাঁক দেখা গিয়েছে বলে খবর। চাষিদের আশঙ্কা, এই পঙ্গপালের হানায় কলা, রবার ও অন্যান্য ফসল নষ্ট হতে পারে। যদিও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলা করে নেবে তারা। গত কয়েক দিন ধরে তামিলনাড়ুতে কফি গ্রাসহপার, বম্বে লোকাস্ট ও ক্রিটাকাস্থক্রিস টারটারিকা নামের পঙ্গপালের বেশ কিছু প্রজাতির দেখা পাওয়া যাচ্ছে।

স্পিসিস সারভাইভাল কমিশন অফ দ্য ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনজারভেশন অফ নেচারের গ্রাসহপার স্পেশ্যালিস্ট গ্রুপের এক সদস্য জানিয়েছে, নীলগিরিতে দেখা পাওয়া পঙ্গপালের এই প্রজাতিদের ক্ষতি করার ক্ষমতা উত্তর ও পশ্চিম ভারতে হানা দেওয়া মরুভূমির পঙ্গপালদের থেকে কম। কন্যাকুমারী জেলার পুভানকোভু ও ভিয়ানুরের চাষিরা জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই সেখানকার রবার ও কলা বাগানে হানা দিয়েছে এই পঙ্গপালের দল। অনেক ফসল নষ্ট হয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

রাজ্যের রাজস্ব মন্ত্রী আর বি উদয়কুমার শনিবার চাষিদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, কৃষি দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য। তাই তাঁদের ভয় পাওয়ার দরকার নেই। ইতিমধ্যেই কৃষি দফতরের কর্মীরা কাজে লেগে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

কয়েক দিন আগে উদাগামণ্ডলমের কাছে খান্দেলের এক চাষি এই পঙ্গপালের ঝাঁক দেখতে পান। তিনি কয়েকটি পঙ্গপালকে ধরে সেগুলি জেলা প্রশাসনের কাছে নিয়ে যান। নীলগিরির জেলাশাসক ইনোসেন্ট দিব্যা জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ওই পঙ্গপালগুলিকে পরীক্ষা করানো হয়েছে। এগুলি মরুভূমির পঙ্গপাল নয়। তামিলনাড়ু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরাও পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখছেন।

ইতিমধ্যেই ডিএমকে প্রধান এম কে স্টালিন রাজ্য সরকারকে দ্রুত কাজ করার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে সরকার যেভাবে দেরি করেছে, এই ক্ষেত্রে যেন তা না হয়। নইলে এমনিতেই রাজ্যের মানুষ সমস্যায় রয়েছেন। তাঁদের সমস্যা আরও বাড়বে।

কন্যাকুমারী জেলার ডিএমকে বিধায়ক টি মনোথংরাজ আবেদন করেছে, পঙ্গপালদের মারতে যেন রাসায়নিক ছড়োনা হয়। তাহলে ফসলও নষ্ট হবে। অন্য কোনও উপায় প্রশাসনকে বের করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।