লখনউ, ৬ ফেব্রুয়ারি – উত্তরপ্রদেশের বাঘপত জেলার একটি জমিকে ঘিরে আইনি লড়াই চলছিল। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সেই আইনি লড়াইয়ে বাঘপত জেলার ওই জমিকে হিন্দুদের ‘জতুগৃহ’ হিসেবে মান্যতা দিল আদালত। এই মামলায় হিন্দুপক্ষের দাবি ছিল, ওই স্থান মহাভারতের সময়কালের ‘জতুগৃহ’। মুসলিম পক্ষের বক্তব্য ছিল, ওই জমিতে এক সুফি সাধকের সমাধিস্থল রয়েছে। শেষ পর্যন্ত বিতর্কিত জমির মালিকানা হিন্দুদের হাতেই তুলে দেওয়ার পক্ষে রায় দিল উত্তরপ্রদেশের স্থানীয় আদালত।
“জতুগৃহ” বনাম “মাজার” মামলা নিয়ে আইনি লড়াই চলছিল প্রায় ৫৩ বছর ধরে। বাঘপত জেলার বিতর্কিত এই জমি নিয়ে হিন্দুপক্ষের বক্তব্য ছিল,এই স্থান মহাভারতের জতুগৃহ। মহাভারতে বর্ণিত এই স্থানেই পাণ্ডবদের পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিল কৌরবরা। তাই এই জমির মালিকানা হিন্দুপক্ষের পাওয়া উচিত। অন্যদিকে, মুসলিমদের দাবি, জমিটিতে সুফি সাধক শেখ বদরুদ্দিনের সমাধি রয়েছে। এই নিয়েই গত পাঁচ দশক ধরে দু’পক্ষের মধ্যে আইনি লড়াই চলে। সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি এই মামলার রায় ঘোষণা হয় বাঘপত জেলা ও দায়রা আদালতে। শুনানিতে বিচারক শিবম দ্বিবেদী ১০০ বিঘার উপর জমির মালিকানা হিন্দুপক্ষের হাতে তুলে দেন।
Advertisement
১৯৭২ সালে বিতর্কিত জমির মালিকানা দাবি করে মামলা করেন ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য মুখিম খান। তথাকথিত সমাধিস্থলটি নিয়ে বিরোধীপক্ষ কৃষ্ণদত্ত মহারাজের সঙ্গে আইনি লড়াই শুরু হয় । মুখিম খানের বক্তব্য ছিল, সেখানে সুফি সাধক শেখ বদরুদ্দিনের সমাধি রয়েছে। হিন্দুদের হয়ে কৃষ্ণদত্ত মহারাজই মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, বারনাওয়া গ্রামের জমির ওই অংশটি মহাভারতের জতুগৃহ এবং বাকি জমির মালিক গান্ধি ধাম আশ্রম ।
Advertisement
উল্লেখযোগ্য, উত্তরপ্রদেশ সরকার প্রয়াগরাজ থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে একটি জায়গাকে মহাভারতের জতুগৃহ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। ২০২৫ সালে মহা কুম্ভমেলার আগে হাণ্ডিয়া ব্লকের ওই জায়গাটিকে নতুন রূপে গড়ে তোলার তোড়জোড় চলছে। ফলে কোন জায়গাটি আসল জতুগৃহ তা নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকেই যাচ্ছে।
চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে রামলালার। এই আবহে যোগী রাজ্যের অন্য এক বিতর্কিত জমির মামলার মীমাংসাও হিন্দুদের পক্ষে হল।
Advertisement



