কেরলে সােনা পাচারের জল এবার গড়ালাে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দফতর পর্যন্ত। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কোচির বিশেষ আদালতে জানিয়েছে যে স্মাগলিংয়ের বিষয়টি জানত পিনারাই বিজয়নের দফতর।
এই প্রথমবার সরাসরি এই কথা জানানাে তদন্তকারী সংস্থাটি। তাদের দাবি, মামলায় প্রধান অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশ তাদের এই কথা জানিয়েছেন। গত সপ্তাহেই বিজয়ের অতিরিক্ত আপ্ত সহায়ক রবীন্দ্রনকে তলব করেছিল ইডি। যদিও কোভিড পজিটিভ হওয়ায় সে যেতে পারেনি।
Advertisement
সিপিএম দলের সদস্য রবীন্দ্রন মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ। অভিযুক্তরা তার বিরুদ্ধে লিখিত বয়ান দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আদালতে দেওয়া স্টেটমেন্টে ইডি জানিয়েছে, অন্যতম অভিযুক্ত তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব শিবশঙ্কর বিভিন্ন চুক্তিতে হওয়া অসঙ্গতির কথা জানত। সে সংক্রান্ত তথ্য সেই রবীন্দ্রনকে দিত।
Advertisement
ইতিমধ্যে শিবশঙ্করের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে কেরল সরকার ও সিপিএম। কিন্তু রবীন্দ্রনের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় এবার তারা বিপদে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি এজেন্সি এই সােনা পাচারের ঘটনার তদন্ত করছে। তবে এই তদন্তের স্বার্থে কাগজপত্র ঘাঁটতে গিয়ে আরও বিভিন্ন লেনদেনে অসঙ্গতির কথা জানতে পেরেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ফলে বিপদ বাড়ছে পি বিজয়নের। ইতিমধ্যেই বিরােধীরা তাঁর ইস্তফার দাবি তুলেছে। তাদের তিনি উপেক্ষা করলেও কয়েক মাস বাদে নির্বাচনের সময় জনগণের সামনে সাফাই দিতে হবে বিজয়নদের। সেটা নিয়েই আপাতত চিন্তিত বাম দলটি।
Advertisement



