কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, সেখানে হিংসার উষ্কানি দিচ্ছে পাকিস্তান : রাহুল গান্ধি

রাহুল গান্ধি এক টুইট বার্তায় জোর দিয়ে জানিয়েছেন যে, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং জম্মু কাশ্মীরে হিংসা উস্কে দিয়েছে পাকিস্তান।

Written by Supratik August 29, 2019 5:36 pm

রাহুল গান্ধি (Photo: Bidesh Manna/IANS)

রাহুল গান্ধি এক টুইট বার্তায় জোর দিয়ে জানিয়েছেন যে, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং জম্মু কাশ্মীরে হিংসা উস্কে দিয়েছে পাকিস্তান। বুধবার রাহুল টুইট করে জানিয়েছেন, অনেক বিষয়েই সরকারের সঙ্গে দ্বিমত পােষণ করেছেন তিনি। তবে তিনি একেবারে পরিষ্কার জানাতে চান, এই হিংসার পিছনে লাগাতার উস্কানি দিয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। 

শনিবার শ্রীনগর সফর করতে রাহুল গান্ধিকে বাধা দেওয়া হয় এবং বিমানবন্দর থেকেই তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই জম্মু ও কাশ্মীর পরিচালনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালােচনা করেন কংগ্রেস নেতা। তারপরই এই টুইটটি উল্লেখযােগ্য বার্তা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর এই মন্তব্যের সমর্থনে টুইট করেন, ‘স্পট অন, চিফ! এটিই হল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মূল মতামত : জম্মু এবং কাশ্মীর ভারতের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ; আমরা ৩৭০ ধারা বাতিল করার পদ্ধতিটির বিরােধিতা করেছি কারণ যেভাবে এটা হয়েছে, তাতে আমরা আমাদের সংবিধান ও গণতান্ত্রিক মূল্যবােধের উপর অত্যাচার চালিয়েছি। আমাদের অবস্থান থেকে পাকিস্তানের কোনও স্বাচ্ছন্দ্য বােধ করার কারণ নেই’। 

প্রসঙ্গত, সরকারের প্রশংসা করার জন্য এর মধ্যেই সমালােচনার মুখে পড়েছেন এই বরিষ্ঠ নেতা। শনিবার রাহুল গান্ধি এবং বিরােধী নেতাদের শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানাের পর তিনি বলেছিলেন, পরিষ্কার বােঝা যাচ্ছে যে, জম্মু কাশ্মীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। বিরােধী প্রতিনিধিরা জানিয়েছিলেন যে, তাঁরা জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখতে চাইছেন। বিশেষ মর্যাদা শেষ করার এবং এটিকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বিভক্ত করার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের পরে যে কোনও ঝামেলা থেকে বিরত রাখতে ৪ আগস্ট থেকে। 

এই রাজ্যে বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতি সহ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা গত ২৫ দিন ধরে গ্রেফতার হয়েছেন। কাশ্মীরেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গিয়েছে। 

কংগ্রেসকে কাশ্মীরের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলতে দেখা গিয়েছে। সংসদে থাকাকালীন গােলাম নবি আজাদের মতাে প্রবীণ নেতারা এই পদক্ষেপের সমালােচনা করেছিলেন, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং মিলিন্দ দেওড়ার মতাে বেশ কয়েকজন তরুণ নেতা অবশ্য সিদ্ধান্তের সমর্থনেই কথা বলেছিলেন। পরে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সনিয়া গান্ধি দৃঢ়ভাবেই কংগ্রেসের অবস্থানকে স্পষ্ট করে দিয়ে জানান, যেভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত এবং কার্যকর করা হয়েছে দল তার বিরােধিতাই করবে।