কর্ণাটকের আবাসন প্রতিমন্ত্রী জামির আহমেদ খান কেন্দ্রকে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাঁকে আত্মঘাতী বোমা দেওয়া হোক। সেটা নিয়ে তিনি পাকিস্তানে বিস্ফোরণ ঘটাতে চান। সম্প্ৰতি এক্স-এ পোস্ট করা জামিরের এই প্রস্তাব সংক্রান্ত ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিতর্ক বেড়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। এই পোস্টে কর্ণাটকের আবাসন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রী সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, তিনি আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে প্রমাণ করে দিতে চান, দেশের মুসলিমদের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও যোগ নেই। মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের প্রতি জোর দিয়ে বলেন,’আমি এটা মজা করে বলছি না।’
সংবাদ মাধ্যমে ওই কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘আমরা সকলেই ভারতীয়। আমাদের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনওরকম সম্পর্ক নেই। যুদ্ধ হলে আমি প্রস্তুত। কেন্দ্র আমাকে মন্ত্রী হিসেবে পাঠাতেই পারে। আমি সেখানে যাব এবং আত্মঘাতী বোমা নিয়েই যাব। রসিকতা করছি না। যদি প্রয়োজন পড়ে মোদি, অমিত শাহ আমাকে আত্মঘাতী বোমা দেন, আমি আল্লা ও ঈশ্বরের শপথ করে বলছি, শরীরে বোমা বেঁধে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করব।’
যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যকে শিশুসুলভ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি কর্ণাটকের ওই মন্ত্রীকে দেশের সেনাবাহিনীর ওপর ভরসা রেখে নীরব থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, পহেলগামে হামলার ঘটনায় পাক যোগের বিষয়টি সামনে আসতেই মোদি-শাহ গর্জে ওঠেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট ভাষা জানিয়ে দেন, বেছে বেছে বদলা নেওয়া হবে। কেউ যদি ভাবে কাপুরুষের মতো হামলা চালিয়ে জিতে যাবে, তাহলে তাদের মনে রাখা দরকার এটা নরেন্দ্র মোদির ভারত। তাই একে একে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়া হবে।
এই ঘটনার পর হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বিহারের মধুবনীতে একটি রাজনৈতিক সভায় বলেন, ‘জঙ্গিরা বিশ্বের যে প্রান্তেই লুকিয়ে থাকুক না কেন, ভারত তাদের খুঁজে বের করে মারবে। যারা সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে বা আড়াল থেকে মদত দিচ্ছে, তারাও ছাড় পাবে না। ওদের যেটুকু জমি বাকি আছে, সেটুকুও গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।’
