রবিবার বিকেলেই খবর এসেছিল দিল্লিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। কয়েক ঘণ্টা পেরতেই রাতে খবর এসেছে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পাও করোনা পজিটিভ। তিনিও নিজেই অমিত শাহের মতোই তাঁর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর ট্যুইট করে জানিয়েছেন।
রবিবার ইয়েদুরাপ্পা ট্যুইটে লেখেন, আমার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আমি ভাল আছি এবং ডাক্তারদের পরামর্শ মতো সাবধানতা হিসাবে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছি। আমি অনুরোধ করছি, সম্প্রতি আমার সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন, তারা সকলেই সেফ কোয়ারান্টাইনে থাকুন।
Advertisement
রবিবারই অমিত শাহের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরের পাশাপাশিই খবর আসে, উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি স্বতন্ত্র দেব সিং আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। আবার রবিবারই সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি সাংসদ কমলারানি রুণের। ৬২ বছরের এই সাংসদ লখনইয়ের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন গত ১৮ জুলাই থেকে।
Advertisement
এই ধাক্কা সামলাতে না পেরে অমিত শাহ নিজেই টুইট করে বলেন, আমার শরীরে কয়েকদিন ধরেই করোনার নানা উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। তাই করোনা পরীক্ষা করাই। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এমনিতে সুস্থই আছি। তবু চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।
শুধু তাই নয়, বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে নয়া শিক্ষানীতিতে সিলমোহর দেয় নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ সহ আরও অনেক মন্ত্রীও। এরপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, তাহলে কি উপস্থিত সব মন্ত্রীদেরই কোয়ান্টাইনে যেতে হবে?
যদিও অনেকে বলছেন, করোনা আবহে মন্ত্রিসভার বৈঠক আগের মতা চেয়ার টেবিলে বসে হচ্ছে না। একটি বিরাট ঘরে দূরত্ব রেখে মন্ত্রীরা বসছেন। কিন্তু পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দূরত্ব থাকলেও এক ঘরে থাকলে ঝুঁকি থেকেই যায়।
Advertisement



