• facebook
  • twitter
Saturday, 19 July, 2025

ভিন্‌‌ধর্মের তরুণীকে বিয়ে করে জেলে, জামিনের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

'দুই সাবালকের সিদ্ধান্তে রাষ্ট্র আপত্তি তুলতে পারে না'

ফাইল চিত্র

যুবকের অপরাধ ছিল ভিন ধর্মের তরুণীকে বিয়ে। তার জেরে জেলের গরাদে যেতে হল। দু’জনেই সাবালক হলেও পুলিশ ওই যুবককে জেলে ভরতেই একমাত্র আদালতই ছিল শেষ ভরসা। অবশেষে দেশের শীর্ষ আদালতে সেই মামলার নিষ্পত্তি হল। সুপ্রিম কোর্ট ওই যুবককে জামিন দিয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ‘দুই সাবালকের সিদ্ধান্তে রাষ্ট্র আপত্তি তুলতে পারে না’।

প্রসঙ্গত এক হিন্দু তরুণীকে বিয়ে করার পরে বেআইনি ধর্মান্তরণের অভিযোগ ওঠে ওই তরুণের বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল উত্তরাখণ্ডের পুলিশ। বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই সে রাজ্যের ধর্মীয় স্বাধীনতা আইন, ২০১৮-র আওতায় গ্রেপ্তার করা হয় তরুণকে। বেআইনি ভাবে ধর্মান্তরকরণের অভিযোগ তুলে পাঠানো হয়েছিল জেলেও। ওই তরুণকে জামিন দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ওই যুগল উভয়েই প্রাপ্তবয়স্ক। তাঁরা উভয়ের ধর্মের বিষয়ে অবগত ছিলেন। দুই পরিবারের সম্মতি নিয়েই তাঁদের বিয়ে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র কোনও আপত্তি তুলতে পারে না।

একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, বিয়ের কয়েক দিন পরেই তরুণীর দূর সম্পর্কের কয়েকজন আত্মীয় ও কিছু নির্দিষ্ট সংগঠন তরুণের বিরুদ্ধে উত্তরাখণ্ডের উধম সিংহ নগর জেলার একটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ওই তরুণকে। তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি ধর্মান্তরকরণ বিরোধের ধারার পাশাপাশি প্রতারণা ও পরিচয় ভাঁড়িয়ে প্রতারণার ধারাও যুক্ত করা হয়েছিল। অবশেষে দেশের শীর্ষ আদালত উত্তরাখণ্ড পুলিশের ওই মামলায় অভিযুক্তকে জামিনের নির্দেশ দিল।

জানা গিয়েছে, এই মামলায় প্রায় ছ’মাস ধরে জেলে ছিলেন ওই তরুণ। প্রথমে তিনি জামিন চেয়ে উত্তরাখণ্ড হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। সেখানে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। পরে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলায় শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ ধৃত তরুণকে জামিন দিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ওই মহিলা ও ধৃত তরুণ উভয়েই সাবালক। তাঁরা নিজেদের বাবা-মা ও পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে করেছেন। এক্ষেত্রে তাঁদের একসঙ্গে থাকার বিষয়ে রাষ্ট্র কোনও আপত্তি তুলতে পারে না। মামলার সব দিক বিবেচনা করে ধৃতকে জামিন দেওয়া উচিত বলেই মনে করে আদালত।