জিজ্ঞাসাবাদে প্রশান্ত দাবি করেন, রাওয়ালপিণ্ডির প্রতিভা নামে এক পাকিস্তানি মহিলার সঙ্গে দশ বছর ধরে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক। প্রথমে সমাজমাধ্যমে আলাপ, তারপর ধীরে ধীরে ভালোবাসা। সেই টানেই নাকি তিনি সীমান্ত পেরতে চেয়েছিলেন। এখানেই বাড়ছে রহস্য। পুলিশ সূত্রে খবর, এর আগেও তিনি পাকিস্তানে ঢুকেছেন। ২০১৭ সালে বেআইনিভাবে সীমান্ত পেরোনোর জন্য ধরা পড়ে চার বছর পাক জেলে ছিলেন। ২০২১ সালে মুক্তি পেয়ে ভারতে ফিরেছেন। তার পর আবারও একই পথে পাকিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা—এসব তথ্য উঠে আসতেই সন্দেহ তীব্রতর হয়েছে গোয়েন্দাদের মধ্যে।
Advertisement
আইটি কর্মী হিসেবে তিনি অতীতে চিন-আফ্রিকা-সহ বিভিন্ন দেশে কাজ করেছেন। এই পেশাগত অভিজ্ঞতা এবং বারবার সীমান্ত পেরনোর চেষ্টা—সব মিলিয়ে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি খতিয়ে দেখছে, প্রশান্তের পাকিস্তানে প্রবেশের নেপথ্যে কোনও গোপন উদ্দেশ্য ছিল কিনা। তিনি কি নিছকই প্রেমিক, নাকি কোনও গোপনচক্রের সঙ্গে জড়িত—তা জানতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
Advertisement
দু’বছর আগে সীমা হায়দারের প্রেমকাহিনি যেমন শোরগোল ফেলেছিল, প্রশান্তের ঘটনা তেমনই নতুন করে প্রশ্ন তুলছে—প্রেমের টানে সীমান্ত পেরোনোর গল্পের আড়ালে কি আরও বড় কিছু লুকিয়ে আছে? তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
Advertisement



