• facebook
  • twitter
Wednesday, 10 December, 2025

৩ মাসের বেশি সময় ধরে কাতারে বন্দি ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের দ্বারস্থ পরিবার

অমিতের বাবা-মা ছেলের সঙ্গে দেখা করতে এক মাসের জন্য কাতারে গিয়েছিলেন। তাঁর মা, ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেন।

ফাইল চিত্র

কাতারের জেলে তিন মাস ধরে বন্দি ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী অমিত গুপ্ত। গুজরাতের বাসিন্দা অমিতের পরিবারের দাবি, বিনা কারণে তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন অমিতের পরিবার। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের দ্বারস্থ হয়েছেন অমিতের বাবা-মা। তাঁরা যোগাযোগ করেছেন বিদেশ মন্ত্রক এবং কাতারে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গেও। 

অমিত গুপ্তকে কাতার কর্তৃপক্ষ আটক করেছে গত ১ জানুয়ারি। অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত অমিতের বিরুদ্ধে কোনও চার্জগঠন করা হয়নি। অন্যায়ভাবে তাঁকে জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় কাতার প্রশাসন, অমিতের পরিবার ও আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে চলেছে ভারতীয় দূতাবাস।
 
অমিতের বাবা-মা থাকেন গুজরাতের ভাদোদরায়। ২০১৩ সাল থেকে অমিত কাতারেই রয়েছেন। অমিতের বাবা-মা ইতিমধ্যেই ভাদোদরার সাংসদ হেমাঙ্গ যোশীর সঙ্গেও এই বিষয়ে যোগাযোগ করেছেন। তাঁদের দাবি, গত ১ জানুয়ারি কাতারের এক রেস্তরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন অমিত। সেখানেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। অমিতের স্ত্রী-ও কাতারেই থাকেন।অমিতের স্ত্রী অনুষ্কা গুপ্ত বলেন, ‘ অমিত আমাদের পরিবারের একমাত্র অবলম্বন। কোনও অভিযোগ ছাড়াই এতদিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার পর আমরা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, বিদেশমন্ত্রক ও দূতাবাসের কাছে আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি।’
 
তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা টেক মাহিন্দ্রার সিনিয়র কর্মচারী অমিত গুপ্তকে বন্দি করে রাখার বিষয়টি তাঁর মা পুষ্প গুপ্ত ভাদোদরায় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। অমিতের বাবা বলেন, তাঁকে কাতারের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী আটক করেছে। তবে, অমিতের বিরুদ্ধে সঠিক অভিযোগ এখনও প্রকাশ করা হয়নি। গুপ্তর পরিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের হস্তক্ষেপ চেয়ে জোর দিয়ে বলেছে যে তিনি নির্দোষ এবং তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য চুরির মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁরা অমিতের দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। 

অমিতের বাবা-মা ছেলের সঙ্গে দেখা করতে এক মাসের জন্য কাতারে গিয়েছিলেন। তাঁর মা, ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর মতে, রাষ্ট্রদূত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, এখনও পর্যন্ত গুপ্তের মামলায় কোনও ইতিবাচক অগ্রগতি হয়নি। তিনি জানান,  দীর্ঘ চেষ্টার পরও তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন অমিতের পরিবার। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রের এক আধিকারিক এক সংবাদমাধ্যমে জানান, ওই ব্যক্তির আটক হওয়ার বিষয়টি কাতারে ভারতীয় দূতাবাসের নজরে রয়েছে।

Advertisement

এর আগেও ভারতীয় নাগরিককে কাতারে আটক করা হয়েছে। ২ বছর আগে, কয়েকজন আধিকারিক-সহ ৮ জন প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মীকে আটক করা হয়েছিল এবং পরে ২০২৩ সালে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। সৌভাগ্যবশত, কাতারের একটি আদালত তাদের সাজা কমিয়ে দেয় এবং অবশেষে কাতারের আমিরের নির্দেশে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়।  

Advertisement

Advertisement