উন্নয়নের বদলে দেশের অর্থনীতিকে পুরােপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে সরকার, অভিযােগ কংগ্রেসের

মােদি প্রশাসনের অর্থনৈতিক নীতির কঠোর সমালােচনা করেছেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের স্বামী পরাকা প্রভাকর।

Written by SNS New Delhi | October 16, 2019 1:31 pm

মণীশ তিওয়ারি (Photo: IANS)

ভারতকে অর্থনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তােলার ‘কেন্দ্রীয়-প্রকল্প’ দেশের অর্থনীতিকে পুরােপুরি ধবংস করে দিয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী মােদি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের কঠোর সমালােচনায় মুখর হয়ে কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ‘মানুষের তৈরি ট্র্যাজেডি’।

ভারতকে অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তােলার লক্ষ্যে কেন্দ্র যে নীতি গ্রহণ করেছে তাতে উন্নয়নের বদলে দেশের অর্থনীতি পুরােটাই ধবংস করে দেওয়া হয়েছে।

কংগ্রেসের মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক মন্দার একটা মানবিকদিক রয়েছে- পাঞ্জাব এন্ড মহারাষ্ট্র কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের গ্রাহক সঞ্জয় গুলাটিকে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে না দেওয়ায় তিনি হৃদরােগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ‘ক্যাফে কফি ডে’র প্রতিষ্ঠাতাও ঋণ দাতাদের উপদ্রবে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন’।

মােদি প্রশাসনের অর্থনৈতিক নীতির কঠোর সমালােচনা করেছেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের স্বামী পরাকা প্রভাকর। তিনি বলেছেন, দেশের অর্থনীতি গভীর সঙ্কটের মধ্যে দাড়িয়ে। অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে দেশের সকলের মধ্যে দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ বাড়ছে। দেশকে বর্তমান আর্থিক মন্দা থেকে রেহাই পেতে নরসিংহ-মনমােহন মডেল অনুসরণ করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। প্রভাকর বর্তমান এনডিএ সরকারের কঠোর সমালােচনা করে বলেন, অর্থনীতি ও রাজনীতি দুই ভিন্ন বিষয়- রাজনীতির ময়দানে শাসক-বিরােধী ঘাত-প্রতিঘাত চলতে পারে, কিন্তু অর্থনীতিতে নয়।

দেশের অন্যান্য অর্থনীতিবিদদের মতামতকে সমান মর্যাদা দিয়ে অর্থনীতির ত্রুটিগুলি শুধরে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। শােচনীয় আর্থিক অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে রাও-সিং আর্থিক কাঠামােকেই অনুসরণ করতে হবে বলে ‘এ লােডস্টার টু স্টিয়ার দ্য ইকোনমি’ শীর্ষক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন। আর তাতেই ভারতের বর্তমান আর্থিকনীতিগুলির ত্রুটি শুধরে নেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। যদি দেশের অন্যান্য বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের মতামতকে গুরুত্বহীন বলে মনে করে তাহলে দ্রুত একটার পর একটা সেক্টর মুখ থুবড়ে পড়বে। কেন্দ্রের তরফে যে পদক্ষেপ সরকার গ্রহণ করা হয়েছে, তা বর্তমান পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার বিষয়ে কতটা কার্যকরী তার কোনও নমুনা দেখা যাচ্ছে না। দেশের করুণ আর্থিক অবস্থার মােকাবিলায় প্রশাসনিক নিস্ক্রিয়তা এবং অন্যান্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ না করা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, ছ’বছরের মধ্যে জিডিপি লক্ষণীয় মাত্রায় কমেছে। ৪৫ বছরের মধ্যে বেকারত্বের হার সবথেকে বেশি। তেওয়ারি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মানুষের তৈরি ট্র্যাজেডি। কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি ও নিস্ক্রিয়তা কারণে অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে।

নােবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ ব্যানার্জি সহ একাধিক অর্থনীতিবিদ চিঠি লিখে অর্থনৈতিক মন্দার জন্য কেন্দ্রকে অভিযুক্ত করেছেন।