২০২৪ সালের মধ্যে নাগরিক পরিচয়হীনদের বিতাড়িত করা হবে

শুধু অসম নয়, সমগ্র ভারতে নাগরিক পঞ্জী তৈরি করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আর তা বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে আজ মাঠে নামলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

Written by SNS New Delhi | December 3, 2019 3:30 pm

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। (File Photo: IANS)

শুধু অসম নয়, সমগ্র ভারতে নাগরিক পঞ্জী তৈরি করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আর তা বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে আজ মাঠে নামলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের আগে নাগরিক পরিচয়হীন জনগণকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে। তামাম দেশে নাগরিক পঞ্জী তৈরি করার পক্ষে সওয়াল করে তিনি বলেন, এনআরসি’র পুরাে অর্থ ন্যাশানাল রেজিস্টার অফ সিটিজেন, ন্যাশানাল রেজিস্টার অফ অসম নয়। তিনি ঝাড়খন্ডে দ্বিতীয় দফা ভােটের প্রচারে। এসে বলেন, ‘আমি দেশবাসীকে নিশ্চিত করে বলতে পারি, খুব শীঘ্রই সমগ্র ভারতে নাগরিক পঞ্জী তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হবে। পরবর্তী লােকসভা ভােটের আগে বেআইনিভাবে বসবাসকারী জনগণকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে’।

কংগ্রেস নেতার রাহুল গান্ধির কড়া সমালােচনা করে তিনি বলেন, ‘রাহুল গান্ধি নাগরিক পঞ্জী তৈরির বিরােধিতা করছেন। তিনি জানতে চান নাগরিক পঞ্জী তৈরি কেন হচ্ছে, কেন অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে। ওরা কোথায় যাবে– আপনাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, দেশে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে কি আপনার কোনও আত্মীয় রয়েছেন নাকি। বিজেপি প্রশাসন সমস্ত অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়িত করবে।

রাজ্যসভার অধিবেশনে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলকে নাগরিক তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া চালু করার বার্তা দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, সম্প্রদায় ভিত্তিক বৈষম্য না করে দেশের সর্বত্র জাতীয় নাগরিক পঞ্জী তৈরির প্রক্রিয়া চালু করা হবে, কারুর চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই। ধর্মীয় নৃশংসতার শিকার হয়ে বৌদ্ধ, হিন্দু, শিখ, জৈন ও পার্সিরা পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে প্রাণহাতে করে পালিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে, ভারতে দীর্ঘকাল ধরে। বসবাস করছে- তাদের যে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত সেটা কেন্দ্র বুঝতে পেরেছে। তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জী আর কিছু নয়, দেশের সমস্ত জনগণকে নাগরিক তালিকার আওতায় নিয়ে আসার একটা প্রক্রিয়ামাত্র।

জাতীয় নাগরিক পঞ্জীর কোথাও লেখা নেই যে অন্য কোনও ধর্মের মানুষদের তালিকাভুক্ত করা হবে না। যে কোনও ধর্মের মানুষ, যারা ভারতীয় নাগরিক তাদেরকে জাতীয় নাগরিক পঞ্জীর তালিকাভুক্ত করা হবে। ধর্মের ভিত্তিতে কোনও ধরণের বৈষম্য করা হবে না। দেশে যখন জাতীয় নাগরিক পঞ্জী তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করা হবে , তখন ফের অসমেও নাগরিক পঞ্জী করা হবে।

অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জীর তালিকা থেকে ১৯ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। তার কথায়, জাতীয় নাগরিক পঞ্জীর চুড়ান্ত তালিকা থেকে যাদের নাম বাদ পড়েছে, তাদের বেশিরভাগই নাগরিকত্ব দাবির প্রমাণ হিসেবে পর্যাপ্ত তথ্য পেশ করতে পারেনি। কেন্দ্র এখনই তাদেরকে বেআইনি বলতে রাজি নয়। জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পঞ্জীর ওতপ্রােত সম্পর্ক রয়েছে– দেশে ঢুকে পড়া শরণার্থীদের বলা ভাল অনুপ্রবেশকারীদের অতিরিক্ত ভার নিয়ে কোনও দেশ সাবলীলভাবে চলতে পারে না।