দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস নয় : অমিত শাহ

অমিত শাহ বলেন, দেশের সীমানা পেরিয়ে কেউ ভারতীয় ভূখন্ডে ঢােকার চেষ্টা করলে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।

Written by SNS New Delhi | September 18, 2019 10:36 am

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। (Photo: IANS/PIB)

তামাম ভারতের এক ইঞ্চি জমিও কেউ দখল করতে পারবে না, কেউ চেষ্টা করলে ভারত উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত– অল ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্ট অ্যাসােসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এমন মন্তব্য করে বলেন, দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ধরণের আপােস করা হবে না।

তিনি বলেন, দেশের সীমানা পেরিয়ে কেউ ভারতীয় ভূখন্ডে ঢােকার চেষ্টা করলে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। অমিত শাহ বলেন, ‘বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে গন্ডগােলের কোনও ঘটনা হয়নি। সর্বত্র শান্তি বজায় রয়েছে। উপত্যকার কোথাও গুলি চলেনি, কোনও হতাহতের খবর নেই’

অল ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্ট অ্যাসােসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ধরণের আপস নয়। দেশের ভূখন্দ্রে এক ইঞ্চিও কেউ দখল করে নিতে পারবে না। যদি কেউ ভুল করে চেষ্টা করে তাহলে আমরা কঠোর জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। আমাদের দেশের জওয়ানদের এক বিন্দু রক্তও ব্যর্থ যাবে না’।

প্রয়ােজনীয় জাতীয় নিরাপত্তা নীতি গ্রহণে ব্যর্থ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের কঠোর সমালােচনা করে তিনি বলেন, ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার হামলার পর ভারতবর্ষ সম্পর্কে বিশ্বের দেশগুলির উপলব্ধির পরিবর্তন হয়েছে। বিশ্বের দরবারে ভারতের পদক্ষেপ প্রশংসিত হয়। ২০১৬ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনী উরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে জঙ্গি লঞ্চ প্যাডে হামলা চালিয়েছিল। পুলওয়ামা হামলার পর ভারতীয় বায়ুসেনা ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে বালাকোটে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির গুড়িয়ে দেয়’।

তিনি বলেন, ‘অখন্ড ভারত’র লক্ষ্যে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত একটা লক্ষ্যণীয় পদক্ষেপ। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী মােদি ক্ষমতায় আসার আগে দেশের সর্বত্র বিশৃঙ্খলা ছিল, সীমন্তে কোনও নিরাপত্তা ছিল না। দেশের মানুষ বহুমুখী দলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করত। ২০১৩ সালে দেশের সর্বত্র হতাশার পরিবেশ– দেশের প্রধানমন্ত্রীকে কেউ প্রধানমন্ত্রী বলে ভাবতেন না, উল্টে সব মন্ত্রীরাই নিজেদের প্রধানমন্ত্রী বলে ভাবতে শুরু করেছিলেন। দেশের মানুষ ২০১৪ সালে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়ােগ করে অ-কংগ্রেসি দলকে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে জয়ী হতে সহায়তা করেছে। তারপর ঘটে গেছে একটার পর একটা কালজয়ী ঘটনা।

২০১৪-২০১৯ সালে দেশের মানুষ দেখেছেন, ৩০ বছরের কংগ্রেস জমানায় পাঁচটি বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। মােদি প্রশাসনের প্রথম পাঁচ বছরে জিএসটি, নােট বাতিল, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, একপদ এক পেনশন সহ ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে ৩৭০ ধারা ও ৩৫(এ) ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, মােদি প্রশাসন কাউকে দমিয়ে রাখার লক্ষ্যে নয়, মানুষের জনকল্যাণের লক্ষ্যে একটার পর একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। মােদির সু-শাসনের স্বীকৃতি হিসেবে আটটি দেশ প্রধানমন্ত্রী মােদিকে তাঁদের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত করছে।