তবে শুধু ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ থামানো নয়, নৈশাহারে ভারত-রাশিয়ার সাম্প্রতিক জটিলতা নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানা গেছে। গত কয়েক মাসে ভারতীয়দের ভুল বুঝিয়ে রাশিয়ায় যুদ্ধে পাঠানোর অনেকগুলি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ভারতীয়দের এ ভাবে ভুল বুঝিয়ে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া সম্পর্কে তাঁর উদ্বেগের কথা পুতিনকে জানিয়েছেন মোদি । রাশিয়ার প্রেসিডেন্টও বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন । ২০২২ সালে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রুশ সেনায় কাজ করছেন বহু ভারতীয়। জানা গেছে , তাঁদের সকলকেই ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুতিন। এমনকি, মোদিকে তিনি জানিয়েছেন, ওই ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরার বন্দোবস্ত করবে তার সরকার।
প্রসঙ্গত উচ্চশিক্ষা কিংবা চাকরির জন্য প্রতি বছর ভারত থেকে বহু মানুষ রাশিয়ায় যান। অভিযোগ, ইউক্রেন-যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই ভারতীয়দের অনেককেই রাশিয়ার সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয়েছে। যুদ্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছে তাঁদের। মোদির সফরের পর এ বার তাঁরা দেশে ফিরতে পারবেন।
Advertisement
রাশিয়া থেকে অস্ট্রিয়া সফরেও যাওয়ার কথা মোদির। গত ৪১ বছরে এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ওই দেশে যাচ্ছেন। মোদির রাশিয়া সফরও দীর্ঘ পাঁচ বছর পর। ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়ার উপর বহু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়া। তবে ভারত প্রকাশ্যে রাশিয়ার বিরোধিতা করেনি। তার মাঝে মোদীর এই সফরের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে, মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। মঙ্গলবার সামরিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্য-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা করতে চলেছেন মোদি ও পুতিন।
Advertisement
Advertisement



