• facebook
  • twitter
Wednesday, 21 May, 2025

পাকিস্তানের ড্রোন ধ্বংস করতে একাধিক অস্ত্রের ব্যবহার ভারতীয় সেনার

হামলাকে প্রতিহত করতে এস ৪০০ ট্রায়াম্ফ সহ এল-৭০ বন্দুক, জু-২৩এমএম অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্ট বন্দুক এবং শিল্কা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার সেনার।

ফাইল চিত্র

উত্তর ও পশ্চিম ভারতের ১৫টি শহরকে নিশানা করে ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। শহরগুলি জম্মু, পঞ্জাব ও রাজস্থানে অবস্থিত। তবে মাটিতে আছড়ে পড়ার আগেই পাকিস্তানের ড্রোনগুলিকে ধ্বংস করে দিয়েছে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এই খবরটি ভারতীয় সেনার তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে। পাকিস্তানের এই হামলাকে প্রতিহত করার কাজে বেশ কয়েকটি সামরিক অস্ত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেগুলির মধ্যে সবার আগে রয়েছে এস ৪০০ ট্রায়াম্ফ। এর পোশাকি নাম সুদর্শন চক্র।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে অপারেশন সিঁদুর অভিযানের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। হামলা– পাল্টা হামলাতে উত্তপ্ত রয়েছে পরিস্থিতি। এই আবহে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই জম্মু, পঞ্জাব এবং রাজস্থানের একাধিক শহর লক্ষ্য করে ড্রোন হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান। এই হামলাকে প্রতিহত করতে এস ৪০০ ট্রায়াম্ফ সহ এল-৭০ বন্দুক, জু-২৩এমএম অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্ট বন্দুক এবং শিল্কা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করেছে ভারতীয় সেনা। পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে ‘আনম্যান্ড এরিয়াল সিস্টেম’ (ইউএএস)-কেও।

কম উচ্চতায় শত্রুপক্ষের কোনও ড্রোন, যুদ্ধবিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রকে চিহ্নিত করে গুলি করে নামায় এল–৭০। এটি ৪০ এমএম ‘অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্ট’ বন্দুক। এই অত্যাধুনিক বন্দুকটি তৈরি করে বফর্স। নিশানায় নিখুঁতভাবে হামলা করার ক্ষেত্রে এই বন্দুকের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অন্যদিকে জু-২৩ এমএম দুই ব্যারেলযুক্ত সোভিয়েত জমানার বন্দুক। এর মারণক্ষমতা এল–৭০–এর তুলনায় অনেক বেশি। স্বল্প উচ্চতায় শত্রু পক্ষের কোনও ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এলেই তা চিহ্নিত করে ধ্বংস করে এই জু–২৩ এমএম। অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্ট বন্দুক শিল্কা রেডার দ্বারা পরিচালিত। এটি জেডএসইউ–২৩–৪ নামেও পরিচিত। এস–৪০০–এর পাশাপাশি এই অস্ত্রগুলিও পাকিস্তানের হামলা রুখতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে।