• facebook
  • twitter
Friday, 13 December, 2024

দূরপাল্লার হাইপারসনিক মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালাল ডিআরডিও

দেশের প্রতিরক্ষা খাতের গবেষণার জন্য খ্যাত সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) দূরপাল্লার হাইপারসনিক মিসাইলের ফ্লাইট ট্রায়াল সফলভাবে পরিচালনা করেছে।

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ফের এক ইতিহাস তৈরি করল ভারত। দেশের প্রতিরক্ষা খাতের গবেষণার জন্য খ্যাত সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) দূরপাল্লার হাইপারসনিক মিসাইলের ফ্লাইট ট্রায়াল সফলভাবে পরিচালনা করেছে। ওড়িশার উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপে এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এক্স হ্যান্ডেলে ডিআরডিও এবং এই ট্রায়ালের সঙ্গে যুক্ত থাকা সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শনিবার ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষা করা হয়। অন্যদিকে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এক্স হ্যান্ডেলে করা একটি পোস্টে বলেছেন, ওড়িশার উপকূলবর্তী ডঃ এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে দূরপাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উড়ান পরীক্ষা করে ভারত একটি বড় মাইলফলক অর্জন করেছে। বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি দেশের কাছে এই প্রযুক্তি ছিল। ভারত সেই তালিকায় যুক্ত হল। রাজনাথ এই সাফল্যের জন্য ডিআরডিও, সশস্ত্র বাহিনী এবং প্রতিরক্ষায় বিনিয়োগকারীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। এটিকে একটি বিস্ময়কর সাফল্য বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

এই হাইপারসনিক মিসাইলটি হায়দ্রাবাদ-ভিত্তিক ডঃ এপিজে আব্দুল কালাম মিসাইল কমপ্লেক্স ল্যাবরেটরি, ডিআরডিও এবং অন্যান্য শিল্প অংশীদারদের সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে। এটি ১৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে বিভিন্ন পেলোড দিয়ে আক্রমণ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। সমস্ত ধরনের সশস্ত্র বাহিনীর ব্যবহারের জন্য এই মিসাইলটি ডিজাইন করা হয়েছে।

মিসাইল পরীক্ষার সময় ডিআরডিওর বিজ্ঞানী এবং সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এটি বিভিন্ন রেঞ্জ সিস্টেমের মাধ্যমে ট্র্যাক করা হয়েছিল। ক্ষেপনাস্ত্রটি ওড়ার বিষয়ে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা বিশ্লেষণ করে এর প্রভাব এবং সঠিক লক্ষ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।

হাইপারসনিক মিসাইল শব্দের কমপক্ষে পাঁচ গুণ গতিতে (ঘণ্টায় ১২৩৫ কিমি) উড়তে পারে। অর্থাৎ এর সর্বনিম্ন গতি ঘণ্টায় ৬১৭৪ কিমি। হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উভয় বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে কাজ করতে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে বেরিয়ে যায়। এর পরে এটি মাটিতে বা বাতাসে উপস্থিত লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করে। ফলে একে থামানো খুব কঠিন। এছাড়াও, উচ্চ গতির কারণে রাডার হাইপারসনিক মিসাইল ধরতে সক্ষম হয় না।

একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বিশ্বের মাত্র পাঁচটি দেশে হাইপারসনিক মিসাইল রয়েছে- আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ফ্রান্স এবং ভারত। তবে ইরান থেকেও এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ব্রিটেন, ইসরায়েল, ব্রাজিল ও দক্ষিণ কোরিয়ায় এই প্রযুক্তি তৈরি হচ্ছে।