জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চলাকালীন প্রাণ গেল উরির এক মহিলার। পাকিস্তানের দিক থেকে আসা শেলের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। গত কয়েকদিন ধরেই উত্তর কাশ্মীরের উরি ও কুপওয়ারা সীমান্তে একটানা গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, বহু পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে সরছে।
একাধিক সংবাদ মাধ্যমের দাবি, রেজারওয়ানি থেকে বারামুলা যাওয়ার পথে একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে ছোড়া একটি শেল মোহুরা অঞ্চলে এসে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যান রেজারওয়ানির বাসিন্দা নার্গিস বেগম। তাঁর স্বামীর নাম বাসির খান। আহত হন হাফিজা নামের আর এক মহিলা। তাঁকে চিকিৎসার জন্য বারামুলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চে বিস্ফোরণের শব্দ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। শুক্রবার ভোরে আচমকা এই শব্দ শোনা যায়। এই শব্দ কীসের এবং এর উৎসস্থল কোথায়, তা স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, নিয়ন্ত্রণরেখা বা এলওসি-র কাছে শব্দটি শোনা যায়। এই শব্দ পাওয়ার পরপরই ফের হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রায় সব জায়গাকে ফের ‘ব্ল্যাকআউট’ করে দেওয়া হয়। ভোরের আলো ফোটার আগে পর্যন্ত ওই সমস্ত এলাকা অন্ধকারে ডুবে ছিল। একই সঙ্গে সাইরেনও বাজানো হয়।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে গোলাগুলি শুরু হয়েছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে। জম্মুর পাশাপাশি রাজস্থান, পাঞ্জাবের একাংশেও রাতে ড্রোন হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। সেখানে ছুটে আসে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র, মর্টার। রাতেই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা জানান। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা বাহিনীও। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ, লাহোর, শিয়ালকোটে আক্রমণ করে ভারতীয় সেনা।