কর্মসংস্থানে সঙ্কট মোকাবিলায় ভারতের সামনে এক বিশাল চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্ক (এডিবি) সতর্ক করেছে যে, দেশের শ্রমবাজারে যোগ হওয়া নতুন কর্মসংস্থানের চাপ মেটাতে অর্থনীতির বার্ষিক বৃদ্ধির হার হতে হবে ১২.২ শতাংশ। কিন্তু, সাম্প্রতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে এডিবি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৬.৫% বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, যা বাস্তবতার মধ্যে একটি বড় ফারাক তুলে ধরেছে।
এডিবি’র অ্যাশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ২০২৫ আপডেট-এ বলা হয়েছে, ভারত বিশ্বের দ্রুত উন্নয়নশীল প্রধান অর্থনীতিগুলোর মধ্যে একটি হলেও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির গতি এখনও জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে না। প্রতি বছরে লাখ লাখ যুবক শ্রমবাজারে প্রবেশ করায়, দীর্ঘমেয়াদি উচ্চ বৃদ্ধিই যথেষ্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টির চাবিকাঠি।
Advertisement
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত চাহিদা শ্লথ হয়ে যাওয়া, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও বিশ্বের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আনুমানিক ৬.৮% থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৬.৫% এ নেমে আসবে। এডিবি আরও সতর্ক করেছে যে, শ্রমবাজার সংস্কার, দক্ষতা উন্নয়ন এবং পরিকাঠামো বিনিয়োগ ছাড়া উচ্চ বৃদ্ধি বজায় রাখা কঠিন হবে।
Advertisement
এডিবি যে ৬.৫% বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে, তা সেই ১২.২% বৃদ্ধির চাহিদার সঙ্গে তুলনীয় নয় যে, নতুন শ্রমবাজারে যোগ হওয়া মানুষের চাহিদা পূরণ করবে। এই ব্যবধান বৃদ্ধির ঘাটতি চাকরি সৃষ্টিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে যুব সমাজে।
ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় এডিবি’র পূর্বাভাসকে স্বাগত জানিয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে যে, সম্প্রতি গৃহীত সংস্কার, পরিকাঠামো বিনিয়োগ ও মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের সম্প্রসারণ দীর্ঘমেয়াদি বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। এক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘ভারত এমন নীতি গ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি দুই ক্ষেত্রেই উন্নতি আনতে সক্ষম।’
এডিবি আরও বলেছে যে, ডিজিটাল পরিকাঠামো, নবায়নযোগ্য শক্তি ও টেকসই উৎপাদনে বিনিয়োগ নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারে এবং বৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।
Advertisement



