দিল্লি, ৮ মার্চ – আফগানিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করল ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের পাকিস্তান-আফগানিস্তান-ইরান বিষয়ক যুগ্মসচিব জেপি সিংহ-সহ ভারতীয় কূটনীতিকদের একটি দল কাবুলে যান। বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠক হয় তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী ওয়াকিল আহমেদ মুত্তাওয়াকিলের সঙ্গে।ক্ষমতার পালাবদলের প্রায় আড়াই বছর পরে নতুন করে সম্পর্ক স্থাপন করল ভারত।
সম্প্রতি তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা করেছে চিন। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, আফগানিস্তানকে বেজিংয়ের আওতামুক্ত করতে দিল্লির এই পদক্ষেপ। কিছু দিন আগেই আফগানিস্তানকে ৫০ হাজার টন গম, ওষুধ, কোভিড টিকা এবং অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ভারত।
তালিবান সরকারের এক মুখপাত্র জানান, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা , ট্রানজিট রুটের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, দুর্নীতি মোকাবিলা এবং আইএস জঙ্গিদমনের মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।বিশেষত , আফগানিস্তানকে ব্যবহার করে ইরানের চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে বাণিজ্যিক লেনদেন বৃদ্ধিতে বেশ কিছু দিন ধরেই সক্রিয় হয়েছে ভারত।
২০২১ সালের ১৫ অগস্ট কাবুল-সহ আফগানিস্তানের অধিকাংশ এলাকা দখল করে তালিবান বাহিনী। তার প্রায় ১০ মাস বাদে কাবুলে পা রেখেছিলেন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকেরা। ২০২২ সালের জুন মাসে যুগ্মসচিব জেপি সিংহের নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধি দল কাবুল পৌঁছে দেখা করেন তালিবান বিদেশমন্ত্রী মুত্তাওয়াকিল-সহ কয়েক জন প্রতিনিধির সঙ্গে। কিন্তু এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে তালিবান সরকারের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক যোগাযোগ স্থাপিত হয়নি।
এদিকে গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে আড়াই বছর আগে ক্ষমতা দখল করলেও এখনও রাষ্ট্রপুঞ্জে স্বীকৃতি পায়নি আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশের সঙ্গেই তাদের স্বীকৃত কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। এই পরিস্থিতিতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
