ভারত-চিন সংঘাত পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি, বলল আমেরিকা

সোমবার, ১৫ জুন, রাতে পুর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সংঘর্ষে দু’পক্ষেরই একাধিক সেনা হতাহত হয়েছে।

Written by SNS Washington | June 18, 2020 2:43 pm

প্রতীকী ছবি (Photo: IANS)

লাদাখে ভারত-চিন সংঘাতের কয়েক ঘণ্টা পরেই আমেরিকা বিবৃতি দিয়ে জানাল, লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের পরিস্থিতি এখন কী অবস্থায় রয়েছে, সেদিকে আমরা নিবিড় ভাবে নজর রাখছি। সোমবার, ১৫ জুন, রাতে পুর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সংঘর্ষে দু’পক্ষেরই একাধিক সেনা হতাহত হয়েছে।

ভারতের তরফে বিহার রেজিমেন্টের এক সেনা অফিসার কর্নেল সন্তোষ বাবু-সহ ২০ জন নিহত হওয়ার কথা বলা হলেও, বেজিং কিন্তু ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও এ নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি। ফলে, চিনের ক’জন সেনা মারা গিয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে, অসমর্থিত একটি সুত্রে চিনের ৪৩ জন সেনা জওয়ান হতাহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়।

আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র বুধবার জানান, ভারতীয় সেনা বাহিনীর ঘোষণা থেকে আমরা জানতে পেরেছি তাদের ২০ জন জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। আমরা নিহত সেনাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের ওই মুখপাত্র বলেন, ‘লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে ভারত-চিন উভয়পক্ষই তৎপর হয়েছে। আমরা বর্তমান পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান আশা করছি।

২ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেসময় ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের একপ্রস্থ কথা হয়েছিল বলে মার্কিন বিদেশ দফতরের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে।

১৫ জুন, সোমবার রাতে ঘটনার সুত্রপাত। লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু-পক্ষের সেনারা। ভারতীয় সেনাকে লক্ষ্য করে প্রথমে পাথর ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। যা থেকে ঘটনা বড় আকার নেয়। বিষয়টি নিয়ে লাদাখ সীমান্তে উচচপর্যায়ের বৈঠকে বসেছেন দু-দেশের সেনাকর্তারা। এই ঘটনার জন্য চিনকেই দোষারোপ করেছে ভারত।

ভারতের তরফে বলা হয়, চিনা সেনা যদি চুক্তি মেনে চলত, তা হলে এই হিংসাত্মক সংঘাত এড়ানো যেত। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, চিনের সেনা গালওয়ানে পয়েন্ট ১৪-তে ভারতীয় এলাকায় ভিতরে ঢুকে তাঁবু খাটিয়েছিল। ভারতীয় জওয়ানরা টহলদারির সময় তা দেখতে পেয়ে, সরিয়ে দেন। চিনের সেনারা তাঁবু সরাতে দেখে পাহাড়ের ওপর থেকে প্রথমে পাথর ছেড়ে। তার পর রড হতে নেমে আসে। শুরু হয় হাতাহাতি।

দুই পক্ষের অনেকেই গুরুতর আহত। সামরিক হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। গত মে মাসেই ভারত এবং চিনের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। প্রথমে সিকিম সীমান্তে, পরে লাদাখে দু-পক্ষের সেনারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু, সংঘাত এতদূর গড়ায়নি। চিনের অভিযোগ, ভারতীয় সেনাই লাইন অফ কন্ট্রোল পার করে চিনে ঢুকে পড়েছিল। ভারত তা খারিজ করে, চিনের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলে।