সরকার যদি নাক না গলায়, তাহলেই বিজ্ঞানের উন্নতি হয়, মন্তব্য বিজ্ঞানীর

বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সরকারের হস্তক্ষেপের উদাহরণ দিতে গিয়ে বেঙ্কটরামন জার্মানিতে হিটলারের আমল ও সােভিয়েত ইউনিয়নের কথা উল্লেখ করেন।

Written by SNS New Delhi | January 18, 2020 4:52 pm

বেঙ্কটরামন রামকৃষ্ণন (Photo: Shaukat Ahmed/IANS)

বিজ্ঞান ও সমাজ। এই নামে এক আলােচনাসভায় বুধবার বক্তব্য পেশ করেন নােবেলজয়ী বিজ্ঞানী বেঙ্কটরামন রামকৃষ্ণন। তিনি বলেন, যে সমাজে চিন্তার স্বাধীনতা থাকে, সরকার সব ব্যাপারে মাথা গলায় না, সেখানেই বিজ্ঞানের গবেষণা বিকশিত হয়। তাঁর কথায়, আমি মনে করি, যেখানে চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে, মতাদর্শগত কারণে সরকার বৈজ্ঞানিক গবেষণায় হস্তক্ষেপ করে না, সেখানেই বিজ্ঞানের যথাযথ বিকাশ ঘটে। যদিও বিজ্ঞানের স্বশাসন বলতে ঠিক কী বােঝাতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট করেননি বেঙ্কি।

বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সরকারের হস্তক্ষেপের উদাহরণ দিতে গিয়ে বেঙ্কটরামন জার্মানিতে হিটলারের আমল ও সােভিয়েত ইউনিয়নের কথা উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, ওই দুটি ক্ষেত্রে সরকারি হস্তক্ষেপের জন্য বিজ্ঞানের ক্ষতি হয়েছিল। তাঁর কথায় নাৎসিরা জার্মানির বিজ্ঞানচর্চাকে ধ্বংস করেছিল। তার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে সময় লেগেছিল ৫০ বছর। সােভিয়েত ইউনিয়ন সরকার এক সময় জেনেটিক্স ও বায়ােলজি গবেষণায় বাধা দিত। ফলে ওই দুটি ক্ষেত্রে রাশিয়া পিছিয়ে ছিল কয়েক দশক।

একই সঙ্গে তিনি চিনের প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, চিন একমাত্র ব্যতিক্রমী দেশ যেখানে সরকার নিয়মিত বাক-স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা সত্ত্বেও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।

বিক্ষান গবেষণায় বেসরকারি বিনিয়ােগের পক্ষে মত প্রকাশ করেন নােবেলজয়ী বিজ্ঞানী। তিনি বলেন, ভারতে বিজ্ঞানচর্চায় বেসরকারি বিনিয়ােগ হওয়া প্রয়ােজন। তাঁর মতে ভারতের সংবিধানে বিজ্ঞানচিন্তায় উৎসাহ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এ ব্যাপারে বিশেষ সাফল্য পাওয়া যায়নি। তাঁর কথায় ভারত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির জন্য জিডিপি-র কম অংশই ব্যয় করে। ভারত যা লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে, সেই অনুযায়ী কাজ করছে না। এ দেশের মােট জাতীয় উৎপাদন বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু তা দ্রুতগতিতে বাড়ছে না।