একটি চাঞ্চল্যকর আবিষ্কারের কেন্দ্রে ফের বিহারের মুজফফরপুর জেলার শ্রী কৃষ্ণ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। রিপোর্ট অনুসারে হাসপাতালের পিছনের জঙ্গল থেকে মানুষের কঙ্কালের অবশেষ পাওয়া গেছে।
এই আবিষ্কার এমন সময় এল যখন বিহারে অ্যাকিউট এনকেফেলাইটিস সিনড্রোমে শিশুর মৃত্যুর সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
Advertisement
শনিবার এসকেএমসিএইচ হাস্পাতালেরে এক অনুসন্ধান দল পুলিশদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
Advertisement
এএনআই-এর রিপোর্ট অনুসারে রাজ্য সরকার চালিত হাসপাতালের কাছে জঙ্গলের মধ্যে কিছু দগ্ধ মৃতদেহ পাওয়া গেছে আর অনেক মানুষের হাঁর মটিতে ছড়ানো নাহলে বস্তায় ভরা রয়েছে।
এসকেএমসিএইচ হাস্পাতালেরে কেয়ারটেকার জনক পাসয়ান এএনআই-কে জানায়, “পোস্ট মর্টেমের পর সব দেহগুলো হাসপাতালের পেছনের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হত। এই কঙ্কালগুলোর ব্যাপারে আমি কখনো আধিরিকদেরকে সাথে কথা বলিনি”।
সুপারিনটেনডেন্ট এস কে শাহি এএনআই-কে জানিয়েছেন, “পোস্ট মর্টেম বিভাগই মৃতদেহর দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে। যদি তারা এই মৃতদেহগুলি এরকম খোলা জায়গায় ফেলে থাকে তাহলে তা সত্যিই অমানবিক। এই বিষয়ে তদন্ত করার জন্য আমরা ওই বিভাগের প্রধানকে ডাকবো”।
ইতিমধ্যে বিহারের স্বাস্থ্য দফতর এই বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।
পুলিশের তরিফ থেকে জানানো হয়েছে, “বেত্তয়ারিস দেহগুলি জঙ্গলে পুড়িয়ে দেওয়া হত”।
এসকেএমসিএইচ হাসপাতালে এখন অ্যাকিউট এনকেফেলাইটিস সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় উপচে পড়ছে। এখনও পর্যন্ত ১০৮ টি শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এই হাসপাতাল থেকে।
গত তিন সপ্তাহের মধ্যে বিহারের দেড়শটিরও বেশি শিশুর প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এই রোগ। যদিও আধিকারিকরা জানিয়েছে আসল সংখ্যাটা এর থেকে কম।
গত মঙ্গলবারই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, মুজফফরপুরের শ্রী কৃষ্ণ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে গেছিলেন অ্যাকিউট এনকেফেলাইটিস সিনড্রোমে শিশুদের মৃত্যুর ব্যাপারে বিশদে জানতে।
এনকেফেলাইটিসের প্রাদুর্ভাবের পর মুখ্যমন্ত্রীর এটাই ছিল এই জেলায় প্রথম সফর।
এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী জানান অসুস্থদের যাতায়াতের পুরো খর্চা পরিশোধ করা হবে আর এসকেএমসিএইচ হাসপাতালের এখনকার ৬১০টি বিছানা বাড়িয়ে ২৫০০টি বিছানা করা হবে।
Advertisement



