• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

‘ঠাকুমা, তুমিই আমার আদর্শ’, জন্মবার্ষিকীতে ইন্দিরাকে স্মরণ প্রিয়াঙ্কার

দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক রূপরেখা বদলে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা আজও ইতিহাসের পাতায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ইন্দিরা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে গভীর আবেগে ভেসে গেলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ঠাকুমার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘দেশপ্রেম, মমতা, শক্তি, সাহস, নিষ্ঠা ও আত্মত্যাগ— এসব গুণেই তৈরি হয়েছিল তাঁর অনমনীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি শুধু দেশকে পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মর্যাদা দেননি, সেই সঙ্গে দেশের পরিকাঠামো আরও মজবুত করে ভারতের ভিতও শক্ত করেছেন।’

প্রিয়াঙ্কা আরও লেখেন, ‘ঠাকুমা, তুমিই আমার আদর্শ। তোমার দেওয়া মূল্যবোধ আজও আমাকে পথ দেখায়। সব সময় আমার সঙ্গে থাকে।’

Advertisement

প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ইন্দিরা গান্ধীর জন্মদিনে দিনটি শুরু হয় দলীয় শীর্ষনেতাদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে। এদিনও কংগ্রেস সাংসদ ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, তাঁর ঠাকুমার দেশপ্রেম, নৈতিকতা ও সাহস তাঁকে আজও অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর শক্তি জোগায়। রাহুলের কথায়, ‘দেশের স্বার্থকে সর্বোচ্চ জায়গায় রাখার শিক্ষা আমি ঠাকুমার কাছ থেকেই পেয়েছি।’

Advertisement

এদিন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা ছাড়াও প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, সাধারণ সম্পাদক কে সি ভেঙ্কটাপ্পা এবং শীর্ষ নেতৃত্বের আরও বহুজন। খাড়গে ইন্দিরা গান্ধীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দৃঢ় নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, ‘দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতা রক্ষায় তাঁর চূড়ান্ত আত্মত্যাগ আমাদের লক্ষবার কুর্নিশ জানাতে বাধ্য করে।’

উল্লেখ্য, ১৯১৭ সালের ১৯ নভেম্বর, উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদে কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ইন্দিরা গান্ধী। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও কমলা নেহরুর কন্যা তিনি। দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক রূপরেখা বদলে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা আজও ইতিহাসের পাতায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

এই দিনটিই দেশে ‘জাতীয় সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। তাঁর জন্মদিনকে কেন্দ্র করেই এই দিনটি নির্ধারিত হয়েছে— দেশের ঐক্য, সংহতি ও অগ্রগতির পথে ইন্দিরা গান্ধীর অবদানকে স্মরণ করার উদ্দেশ্যে।

Advertisement