ইপিএফ গ্রহকদের জন্য সুখবর

উৎসবের আগে গ্রাহকদের মুখে হাসি ফোটাতে ৮.৬৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হবে বলে ঘােষণা করলেন দেশের শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার।

Written by SNS New Delhi | September 18, 2019 10:52 am

শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার। (File Photo: IANS)

উৎসবের আগে গ্রাহকদের মুখে হাসি ফোটাতে ৮.৬৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হবে বলে ঘােষণা করলেন দেশের শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার। তিনি বলেন, দেশে উৎসবের মরশুমে ছ’কোটির বেশি ইপিএফও (এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন) গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ৮.৬৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হবে। পাঁচ বছরের সুদের হার পর্যবেক্ষন করলে স্পষ্ট দেখা যাবে গত বছর ইপিএফও’র সুদের হার (৮.৫৫ শতাংশ) সবথেকে কম ছিল।

ইপিএফও’র সিদ্ধান্ত ও নীতি প্রণয়ণকারী সংস্থা দ্য সেন্ট্রাল বাের্ড অফ ট্রাস্টির (সিবিটি) তরফে চলতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি প্রাক-নির্বাচন মরশুমে ৮.৬৫ শতাংশ হারে ইপিএফের সুদ বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দিয়েছিল। তারপর প্রস্তাবটি অর্থ মন্ত্রকের সম্মতির জন্য পাঠানাে হয়। অর্থমন্ত্রক সেন্ট্রাল বাের্ড অফ ট্রাস্টির প্রস্তাবটি অনুমােদন করলে দেশের ছ’কোটির বেশি ইপিএফও গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে ৮.৬৫ শতাংশ হারে সুদ জমা করা হবে। ২০১৭-১৮ সালের জন্য ৮.৫৫ শতাংশ হারে অনুমােদিত ইপিএফও সুদ দেওয়া হচ্ছে।

ন্যাশানাল সেফটি অ্যাওয়ার্ড প্রােগ্রামে গিয়ে তিনি বলেন, ‘উৎসবের মরশুম শুরু হওয়ার আগে ৬ কোটির বেশি ইপিএফও গ্রাহক ২০১৮-১৯ সালে ৮.৬৫ শতাংশ হারে সুদ পাবেন’।

ইপিএফ’র সুদের হার নিয়ে চলতি বছর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে বিলম্বের কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী ব্যস্ত রয়েছেন। ইপিএফ সুদের হার বৃদ্ধির প্রস্তারে ফাইলটি মন্ত্রী দেখেছে। তিনি প্রস্তাব নিয়ে অসম্মতি জানাননি। ইপিএফও গ্রাহকদের ২০১৮-১৯ সালে ৮.৬৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার সুপারিশ করেছি’।

দেশের নুতন দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে শ্রম মন্ত্রকের আওতায় নতুন পরিকাঠামাে গড়ে তােলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দ্য এমপ্লয়িজ স্টেট ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন লে’তে ৩০ বেডের ও শ্রীনগরে ১০০ বেডের হাসপাতাল খুলবে। ইপিএফও’র তরফে শ্রীনগর ও জম্মুতে অফিস খুলবে। প্রয়ােজন হলে লে’তে অফিস খােলা হবে’।

জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর আগামি ৩১ অক্টোবর থেকে দুই নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ১০৬টি নতুন আইন কার্যকরী করা হবে। তবে নতুন আইনগুলাে কার্যকর করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে নতুন পরিকাঠামাে গড়ে তুলতে হবে।

বেকারত্ব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘যে প্রতিষ্ঠানগুলােতে গত তিন বছর ধরে ২০ বা তার বেশি কর্মী কাজ করত, সেখানে ২ কোটির বেশি চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রে ৪০কোটি কর্মীর উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছি’।