• facebook
  • twitter
Friday, 4 October, 2024

জুয়ার ঠেকে হানা, জুয়াড়িদের হাতে বন্দি মহিলা পুলিশ আধিকারিক-সহ ৩ পুলিশকর্মী 

বালেশ্বর, ১৯ ফেব্রুয়ারি – অভিযুক্তদের ধরতে গিয়ে তাদের হাতেই বন্দি হলেন এক মহিলা পুলিশ আধিকারিক। ওই আধিকারিক এবং তিন পুলিশকর্মীকে জোর করে একটি ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় এবং দরজায় তালা দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সোমবার এই ঘটনা ঘটে ওড়িশার বালেশ্বর জেলার একটি থানায়। শেষমেশ ওই বন্দি মহিলা ইনস্পেক্টর এবং পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ বাহিনী। তাঁদের

বালেশ্বর, ১৯ ফেব্রুয়ারি – অভিযুক্তদের ধরতে গিয়ে তাদের হাতেই বন্দি হলেন এক মহিলা পুলিশ আধিকারিক। ওই আধিকারিক এবং তিন পুলিশকর্মীকে জোর করে একটি ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় এবং দরজায় তালা দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সোমবার এই ঘটনা ঘটে ওড়িশার বালেশ্বর জেলার একটি থানায়। শেষমেশ ওই বন্দি মহিলা ইনস্পেক্টর এবং পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ বাহিনী। তাঁদের উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাতে তালসারি থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর চম্পাবতী সোরেন তিন পুলিশকর্মীকে নিয়ে এলাকায়  টহল দিচ্ছিলেন। তাঁদের কাছে খবর আসে উদয়পুরের একটি বাড়িতে বড় মাপের জুয়ার আসর বসেছে। ইন্সপেক্টর পুলিশকর্মীদের নিয়ে সেখানে গিয়ে হানা দেন। হাতে নাতে জুয়াড়িদের ধরেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ দেখেই ওই জুয়াড়িরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে আরও লোক জড়ো হয়। পুলিশকে ঘিরে ধরে হেনস্থা শুরু করেন ওই অভিযুক্তরা । অভিযোগ, কর্তব্যরত ওই মহিলা ইন্সপেক্টরের গায়ে হাত তোলা হয়। তাঁকে ঠেলে একটি ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই পরিস্থিতি হয় তিন পুলিশকর্মীরও। বেশ কিছুক্ষণ পর থানায় খবর যায় থানায়। খবর পেয়েই চন্দনেশ্বর আউটপোস্ট এবং ভোগরাই থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। উদ্ধার করা হয় ওই ইন্সপেক্টর এবং পুলিশকর্মীদের।

ঘটনা প্রসঙ্গে জলেশ্বরের এসডিপিও দিলীপ সাউ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এক ইন্সপেক্টর এবং পুলিশকর্মীদের হেনস্থা করে কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁরা কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে আটকে রাখে। এটি গুরুতর অভিযোগ, এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। আইনের পথে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে ওই ঘটনায় ২০ জনের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনা আরও কেউ জড়িত কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।