প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন দিল্লির বিস্তীর্ণ এলাকা। শনিবার রাতজুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝোড়ো হাওয়ায় উত্তাল হয়েছে নয়াদিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকা। সেই সঙ্গে চলেছে তুমুল বৃষ্টি। ভারী বৃষ্টি সঙ্গে ৪০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের তাণ্ডবে কার্যত দিশেহারা অবস্থা শহরবাসীর। ভারী বর্ষণে রাস্তাঘাট প্লাবিত, কোথাও কোথাও গাছ উপড়ে গিয়েছে। রাস্তায় জল জমে ব্যাহত যানচলাচল। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে একশোরও বেশি বিমান ওঠানামায় দেরি হয়েছে। ঝড়ের কারণে ৫০টি বিমানের পথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
আবহাওয়া দপ্তরের তরফে নাগরিকদের ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ঝড়ের সময় খোলা জায়গা, মাঠ বা গাছের নিচে দাঁড়াবেন না। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহারে সতর্ক থাকুন এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করুন।’ দিল্লির মোতিবাগ, মিন্টো রোড, হুমায়ুন রোড, শাস্ত্রী ভবনের মতো এলাকায় জল থইথই অবস্থা। দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালের কাছেও জল জমেছে। সকাল থেকে একাধিক উড়ান বাতিল করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সময়সূচির বদলও হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪০-৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়ার জেরে উড়ানের ওঠানামায় সমস্যা হয়েছে। ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, আকাশা এয়ার, এয়ার ইন্ডিয়ার মতো একাধিক উড়ান সংস্থা এক্স হ্যান্ডলে বিমান চলাচলে সমস্যার কথা জানিয়েছে। বিমানসংস্থাগুলির আবেদন, যাত্রীরা উড়ান ধরার জন্য বিমানবন্দরে আসার আগে উড়ান পরিষেবার স্ট্যাটাসের ব্যাপারে যেন বিস্তারিত তথ্য জেনে নেয়। যাত্রীদের জন্য ট্রাভেল অ্যাডভাইজরিও প্রকাশ করা হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, শনিবার রাত থেকেই দিল্লিতে বৃষ্টি শুরু হয়। তবে রবিবার ভোরে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ে। সঙ্গে চলে ঝড়ের দাপটও। দিল্লি বিমানবন্দর যাওয়ার মূল আন্ডারপাস জলের তলায়। আন্ডারপাসে বহু গাড়ি আটকে পড়েছে। নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা, গুরুগ্রাম-সহ এনসিআরে রবিবার ভোর থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গুরুগ্রামে সেক্টর ১০, বিকাশ নগর জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।