মঙ্গলবার লোকসভায় বাজেট প্রস্তাবের উপর যে ৩৫টি সংশোধনী পাশ হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল ৬ শতাংশ ডিজিটাল কর প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত। বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় অনুদানপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলিতে খরচ হবে প্রায় ৫ লক্ষ ৪২ হাজার কোটি টাকা। ২০২৪-২৫-এ এই অঙ্ক ছিল ৪ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি। অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির খরচ ১৫ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি থেকে বেড়ে হবে ১৬ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি।
Advertisement
বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে মোট ৫০.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে, যা চলতি অর্থবর্ষের তুলনায় ৭.৪ শতাংশ বেশি। আগামী অর্থবর্ষের জন্য প্রস্তাবিত মোট মূলধনী ব্যয় ১১.২২ লক্ষ কোটি টাকা এবং কার্যকরী মূলধনী ব্যয় ১৫.৪৮ লক্ষ কোটি টাকা।
নির্মলা সীতারমন বলেন, ‘এই বিলের মূল উদ্দেশ্য ট্যাক্স সুনিশ্চিত করা। এর ফলে ব্যবসা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষের জন্য ব্যতিক্রমী ট্যাক্স ছাড় দেওয়া হবে।’ পাশাপাশি সরকারের বিদেশী সম্পত্তির উপর ট্যাক্স সংগ্রহ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন।
বিল নিয়ে আলোচনা চলাকালীন বিরোধী দলগুলি সরকারের ত্রুটিপূর্ণ জিএসটি নিয়ে সমালোচনা করেছে। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর অভিযোগ করেছেন, ‘এটি অস্থায়ী সমাধান। যখন দেশের সামনে গঠনমূলক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তখন সরকারের এই ধরণের সমাধান কার্যকরী নয়।’ থারুর প্রশ্ন করেন, ‘২০৪৭ সালের বিকশিত ভারত আমাদের কাছে একটি প্রশংসনীয় লক্ষ্য, কিন্তু অর্থবিল কী আমাদের সেই পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে?’
তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র সরকারের অর্থনীতি নিয়ে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘সরকারের ট্যাক্স পলিসি দেশে দুটি ভারত তৈরি করেছে, যার একটি কুবেরদের ভারত, যেখানে এলিট ক্লাসের সুবিধে দেওয়া হয়েছে, এবং অন্যটি বিশ্বকর্মাদের ভারত, যেখানে সাধারণ মানুষ এই সরকারের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ভুগছে।’ তাঁর অভিযোগ, অতিরিক্ত কর সাধারণ মানুষের কোনও উপকারে আসছে না।
বাজেট পাশ হওয়ার পর এখন লোকসভায় বাজেট নিয়ে আর কোনও বিতর্ক হবে না। বাজেট পাশ হওয়ার পর সংসদে বাজেট প্রক্রিয়ার সমাপ্তি হল মঙ্গলবার।