চিন-আমেরিকাতে জাল ওষুধ বিক্রির মাফিয়া চক্রের পর্দা ফাঁস

Written by SNS March 13, 2024 4:12 pm

অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ওষুধকে ক্যানসারের ওষুধ বলে পাচার
দিল্লি, ১৩ মার্চ– ১০০ টাকার অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ওষুধকে ক্যানসারের ওষুধ বলে লাখ লাখ টাকায় বিক্রি করছিল একটি চক্র৷ ক্যানসার ড্রাগ লেখা ভায়ালে জাল ওষুধ ভরে তা পাচার করা হচ্ছিল চিন-আমেরিকার মতো দেশেও৷ এমনই এক জাল ওষুধ বিক্রির পাচারচক্রের পর্দা ফাঁস করল দিল্লি পুলিশ৷ এই চক্রে যুক্ত ৭ জনকে ইতিমধ্যেই রোহিনী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ যার মধ্য রয়েছে ২ জন হাসপাতালের কর্মীও৷ পুলিশের দাবি, ১০০ টাকার অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ওষুধকে ক্যানসারের ওষুধ বলে লাখ লাখ টাকায় বিক্রি করছিল ওই চক্র৷ এই চক্রের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ওষুধ পাচারকারীদের যোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷
দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার অফিসাররা জানাচ্ছেন, পাচারকারীরা অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ওষুধ নতুন ভায়ালে ভরে তার গায়ে ক্যানসার ড্রাগের ভুয়ো নাম সেঁটে বিক্রি করছিল৷ দেশের বাজারে এই জাল ওষুধ ছেয়ে গিয়েছিল৷ শুধু তাই নয়, চিন, আমেরিকাতেও ওই জাল ওষুধের ভায়াল পাচার করা হয়েছে বলে খবর পেয়েছেন তদন্তকারীরা৷ বিদেশে এক একটি ওষুধের ভায়াল ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে পাচারকারীরা৷
এই চক্রের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে গত দু’বছর ধরে এই জাল ওষুধের কারবার চলছিল দিল্লি, নয়ডা, গুরুগ্রামে৷ পুলিশ জানাচ্ছে, সাত হাজারের বেশি ইঞ্জেকশন বিক্রি হয়ে গেছে৷ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দিল্লি ও গুরুগ্রামের কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালায় পুলিশ৷ ধরা পডে় সাতজন৷ ভারতের দুটি ও ৭টি আন্তর্জাতিক ওষুধের ব্র্যান্ডের নামে ওই জাল ওষুধের ভায়াল উদ্ধার হয়েছে৷ ধৃতদের থেকে ৪ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ৷
তদন্তকারীদের অনুমান, এই চক্রে স্বাস্থ্য আধিকারিকরাও জডি়ত৷ মোতি নগর থেকে এই চক্রের অন্যতম পাণ্ডা ভিপিল জৈনকে প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ তাকে জেরা করে সুরজ শাহ নামে আরও একজনের হদিশ মেলে৷ পুলিশ জানাচ্ছে, এই জৈন ও শাহ দুজনে বিদেশে ওষুধ পাচারের কাজ করত৷ তাদের বাডি়তে তৈরি হত সেই জাল ওষুধ৷ দুজনের বাডি়তেই তল্লাশি চালিয়ে ১৯৭টি খালি শিশি, ১৩৭টি ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ, ৮৬৪টি প্যাকিং বাক্স উদ্ধার হয়েছে৷ পুলিশের অনুমান, খুব তাড়াতাডি় বড় লটের ওষুধ প্যাকিং করে বিদেশে পাচার করা হত৷ তার আগেই হাতেনাতে ধরা পডে় পাচারকারীরা৷
ভারত থেকে জাল কাশির ওষুধ বিদেশে পাচার করার অভিযোগ আগেই উঠেছে৷ এই জাল ওষুধ খেয়ে উজবেকিস্তানের ৬ জন শিশুর মৃতু্য হয়৷ তারপরেই তদন্তে নামে দেশের ড্রাগ কন্ট্রোল৷ নয়ডার একটি কোম্পানির নাম উঠে আসে যেখানে ওই ভুয়ো কাশির ওষুধ তৈরি হত৷ ওই কোম্পানি সিল করে দেয় পুলিশ৷ ধরা পডে় ফার্মাসিস্ট-সহ কোম্পানির ডিরেক্টর পদের কর্তারা৷