মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় নির্বাচন নির্বিঘ্নে

প্রধানমন্ত্রী মােদি দ্বিতীয় বারের মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর দেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে আজ বিধানসভা ভোট হল।

Written by SNS New Delhi | October 22, 2019 11:54 am

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

ভােট ব্যাঙ্ক রাজনীতির ফায়দা তুলতে নির্বাচনী প্রচারে শাসক ও বিরােধী একে অপরকে তুলােধােনা করতে একফোটা সুযােগ ছাড়েনি ঠিকই তবে আজ ভাগ্য পরীক্ষার শুভ লগ্নে হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মােদি দ্বিতীয় বারের মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর দেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে আজ বিধানসভা ভোট হল। বলা বাহুল্য, বিজেপি শিবিরের প্রত্যাশাও বেশ খানিকটা বেশি। মহারাষ্ট্রে ৬০.০৫ শতাংশ ও হরিয়ানায় ৬৫ শতাংশ ভােট পড়েছে।

কংগ্রেসও জায়গা ফিরে পাওয়ার আশা করছে। হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে ভােট গ্রহণ পর্ব শেষে একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষায় দুই রাজ্যে গেরুয়া ঝড়ের আভাস দেওয়া হয়েছে। ফলে ধরে নেওয়া যেতে পারে দুই রাজ্যে ফের ক্ষমতায় বহাল থাকতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ২৪ তারিখ দু’রাজ্যে ভেটের ফলাফল প্রকাশ হবে।

মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি আসনে ভােটাররা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়ােগ করে ২৩৫ জন মহিলা সহ ৩২৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করলেন। উল্লেখযােগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (নাগপুর দক্ষিণ-পশ্চিম বিধানসভা আসনের প্রার্থী), অশােক চহ্বন (নান্দেদ জেলার ভােকার আসনের প্রার্থী), পৃদ্ধিরাজ চহ্বান (সাতারা জেলার কারাদ-দক্ষিণ প্রার্থী)।

ওরলি বিধানসভা আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরে। যুব সেনা প্রধান আদিত্য ঠাকরে তাঁর পরিবারের প্রথম সদস্য যিনি ভােট রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করলেন।

হরিয়ানায় ৯০টি আসনে ভােটাররা ১০৫ জন মহিলা সহ ১১৬৮ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করলেন।

লােকসভা নির্বাচনে দল ধরাশায়ী হওয়ার চাপা কষ্ট থেকে শিক্ষা নিয়ে দুই রাজ্যে ফের ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন বুনেছে কংগ্রেস-মহারাষ্ট্রে শরদ পাওয়ারের দলের সঙ্গে জোট করে ভােটের ময়দানে নেমেছে। বলা বাহুল্য, শরদ পাওয়ারের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টিও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই চালাচ্ছে। বিজেপি মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সঙ্গে জোট করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য মােতাবেক দুপুর তিনটে পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ৪৩.১৪ শতাংশ ও হরিয়ানায় ৫০.০২ শতাংশ ভােট পড়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী মােদি টুইট করে লেখেন, ‘আমি দুই রাজ্যে ভােটারদের আর্জি করেছি যেন তারা রেকর্ড সংখ্যায় ভােট দেন ও গণতন্ত্রের এই উৎসবকে সমৃদ্ধ করে তােলেন’।

মহারাষ্ট্রে ২৮৮ টা আসনের মধ্যে বিজেপি-শিবসেনা জোট ২৭৪টি আসনে (বিজেপি ১৫০টি ও শিবসেনা ১২৪টি) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। পাশাপাশি কংগ্রেস-এনসিপি জোট ২৬৩টি আসনে (কংগ্রেস ১৪৬টি আসনে ও এনসিপি ১১৭টি) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। বাকি আসন গুলােতে ছােটো দলগুলি প্রার্থী দিয়েছে। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সেনা-বিজেপি জোট বর্তমানে ২১৭টি আসনে ও কংগ্রেস ৫৬টি আসন দখল করে রয়েছে।

শাসক জোটের মধ্যে আসন সমঝােতার প্রশ্নে ঠিক হয়েছে, বিজেপি ‘মুখ্যমন্ত্রী’ পদ পাবে ও উদ্ধব ঠাকরের দল ‘উপ মুখ্যমন্ত্রী’র পদ পাবে। ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে ঘােষণা করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশকেই পদে বহাল রাখা হবে। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্যকে ভেবে রেখেছে।

হরিয়ানায় ৯০টি আসনে ভারতীয় জনতা পার্টির মূল প্রতিপক্ষ কংগ্রেস ও জননায়ক জনতা পার্টি। মুখ্যমন্ত্রী মনােহর লাল খাট্টর ৭৫টি আসনে জিতবেন আশা করেছেন। আগের নির্বাচনে দল ৪৮টি আসনে জয়ী হয়েছিল। কংগ্রেস পেয়েছিল ১৭টি আসন। দুঃশন্ত চৌটালা নেতৃত্বাধীন জননায়ক জনতা পার্টি অস্তিত্ব সঙ্কট থেকে বেরােনাের লক্ষ্যে ন্যাশানাল তােক দলের সঙ্গে জোট করে ভােটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।