• facebook
  • twitter
Monday, 28 July, 2025

মমতার অভিযোগের পরই সুর বদল করল নির্বাচন কমিশন

সোমবার দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ২০০৩ সালে বিহারের ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

বিহারের নির্বাচনের আগে ভুয়ো ভোটার রুখতে কিছু নির্দেশিকা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেই প্রক্রিয়াকে ত্রুটিপূর্ণ মনে করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। কয়েকদিনের মধ্যেই আগের বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করল নির্বাচন কমিশন।

সোমবার দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ২০০৩ সালে বিহারের ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে নাম আছে এমন ৪.৯৬ কোটি ভোটারকে নতুন করে আর কোনও নথি জমা দিতে হবে না। তাঁদের বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও নথিও জমা দিতে হবে না। ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় যদি কারও নাম না থাকে, সেক্ষেত্রে বাবা-মায়ের নথির জন্য তিনি ওই তালিকাই ব্যবহার করতে পারবেন। তাঁকে আলাদা করে বাবা-মায়ের নথি দেখাতে হবে না। এতে ৬০ শতাংশ ভোটারকে কোনও নতুন নথি জাম দিতে হবে না। শুধুমাত্র ২০০৩ সালের ভোটার তালিকা থেকে বিবরণ যাচাই করেই আবেদন করতে পারবেন।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক ভোটারের বাড়িতে একটি করে গণনা ফর্ম পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই ফর্ম পূরণ করে কমিশনে জমা দিতে হবে। এর আগে নতুন ভোটারদের জন্য নাগরিকত্বের প্রমাণস্বরূপ বাড়তি নথি জমা দিতে বলা হয়েছিল। তবে নতুন বিজ্ঞপ্তিতে কোনও বাড়তি নথি বাধ্যতামূলক করেনি নির্বাচন কমিশন। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের পরে জন্মানো ভোটারদের তালিকায় উল্লিখিত ১১টি নথির মধ্যে যে কোনও একটি নথি জমা দিলেই চলবে।

এর আগে ইসি জানিয়েছিল, ১৯৮৭ সালের ১ জুলাই থেকে ২০০৪ সালের ২ ডিসেম্বরের মধ্যে যাঁরা জন্মেছেন, তাঁদের জন্মতারিখ কিংবা জন্মস্থানের প্রমাণ হিসেব নথি এবং তাঁদের বাবা অথবা মায়ের জন্মতারিখ এবং জন্মস্থানের নথি দিতে হবে। খবর প্রকাশ্যে আসার পরই এর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ তোলেন, বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে নির্বাচন কমিশন। মমতা বলেন, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করে ইসি এমন পদক্ষেপ করতে পারে না। গরিবেরা কীভাবে বাবা-মায়ের সেই সময়ের নথি পাবে? নির্বাচন কমিশন ঘুরিয়ে এনআরসি চালু করতে চাইছে বলে কটাক্ষ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এরপর আশ্চর্যজনক ভাবে বিহারের ভোটারদের জন্য পূর্ব নির্দেশিকায় বদল আনল নির্বাচন কমিশন।

ইসি-র নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মুখ খোলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, এ নিয়ে প্রথম থেকেই আওয়াজ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর চাপে পড়েই পূর্ব নির্দেশিকা পালটে নতুন নির্দেশিকা জারি করতে বাধ্য হল নির্বাচন কমিশন।