হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে চার্জশিট ইডির, নাম আরও ৩ সরকারি আধিকারিকের  

Written by SNS April 5, 2024 6:34 pm

দিল্লি, ৫ এপ্রিল – জমি দুর্নীতি মামলায় ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের মামলায় চার্জশিট জমা দিল ইডি। প্রায় ৯ একর জমি বেআইনিভাবে দখল করার অভিযোগ রয়েছে হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি।  শুক্রবার সেই মামলায় চার্জশিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে প্রায় ৯ একর জমি দখলের অভিযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি এই কেলেঙ্কারিতে যুক্ত আরও তিনজনের নাম করেছে ইডি। 

ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে জমি দখলের অভিযোগ তুলেছে ইডি। জমি দুর্নীতি মামলায় জমা দেওয়া চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে হেমন্তের। সেই সঙ্গে আরও তিন জনের নাম যোগ করেছে ইডি। কিভাবে হেমন্ত সোরেন এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তার ব্যাখ্যাও চার্জশিটে দেওয়া হয়েছে।  ইডির চার্জশিটে নাম রয়েছে রাজস্ব দফতরের আধিকারিক ভানুপ্রতাপ প্রসাদ এবং আরও ২ জন সরকারি আধিকারিকের। চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, এই দুর্নীতিতে হেমন্তের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রেভিনিউ অফিসার ভানুপ্রতাপ সহ এই দুজন সরকারি আধিকারিক। ইডির দাবি, ভানুপ্রতাপ বিভিন্ন জমির সরকারি দলিল নয়ছয় করতেন। আর হেমন্তকে বেআইনি জমি পাইয়ে দিতে সাহায্য করতেন তাঁর ঘনিষ্ঠ তিনজন। তাদের নাম, রঞ্জিৎ সিংহ, হিলারিয়াস কছপ এবং রাজকুমার।  

ভানুপ্রতাপের অফিসে তল্লাশি চলাকালীন ইডি ৪৪ পাতার একটি ফাইল খুঁজে পেয়েছে। তাতে হেমন্তের জমি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে।সেখানে তাঁকে যে ‘বস’ বলে ডাকা হত, এমনও উল্লেখ রয়েছে বলে দাবি।  কেন্দ্রীয় সংস্থা এও জানতে পেরেছে, ৮.৮৬ একর জমি বেআইনিভাবে নিজের নামে করেছেন হেমন্ত। বর্তমানে এই জমির দাম প্রায় ৩১ কোটি টাকা, যা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। 

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আগেই দাবি করেছিল, এই জমি দুর্নীতি মামলা অন্তত ৬০০ কোটি টাকার। হেমন্তের দিল্লির বাসভবন থেকে ৩৬ লক্ষ নগদ টাকা এবং একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি আগেই বাজেয়াপ্ত করেছিল তাঁরা। এ বার ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে ২৫৬ কোটি টাকার ‘বেআইনি’ সম্পত্তি। 

গত ৩১ জানুয়ারি হেমন্তকে গ্রেফতার করে ইডি। যদিও গ্রেফতার হওয়ার আগেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন হেমন্ত। রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হন চম্পই সোরেন। যদিও হেমন্ত গোড়া থেকেই তাঁর নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি অস্বীকার করে এসেছেন।  কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ইডি , সিবিআই, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহারের অভিযোগও করেছেন।