• facebook
  • twitter
Tuesday, 29 April, 2025

ফের তলব ইডির, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ মন্তব্য রবার্ট বঢরার

রবার্ট বঢরা বলেছেন, 'আমরা ইডি-কে বলেছিলাম যে আমরা আমাদের নথি প্রস্তুত রাখছি, আমি এখানে আসার জন্য সবসময় প্রস্তুত।'

রবার্ট বটরা

হরিয়ানার গুরুগ্রামের শিকোহপুর গ্রামের একটি জমি চুক্তির সাথে যুক্ত অর্থ পাচারের মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার দিল্লিতে ইডি-র অফিসে হাজিরা দিলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী তথা ব্যবসায়ী রবার্ট বঢরা।এপিজে আব্দুল কালাম রোডে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার সদর দপ্তরে পৌঁছনোর পর ৫৬ বছর বয়সী রবার্ট বঢরা মামলাটিকে ‘ভিত্তিহীন’ এবং ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে উড়িয়ে দেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ইডি-র কাছ থেকে এই জিজ্ঞাসাবাদের হাজিরা সংক্রান্ত সমন পাওয়ার ঠিক একদিন আগেই রবার্ট জানিয়েছিলেন, যদি কংগ্রেস চায়, তাহলে তিনি রাজনীতির ময়দানে নামতে প্রস্তুত। তিনি বলেছিলেন, কংগ্রেস নেতৃত্ব চাইলে তিনি তাঁর পরিবারের আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেবেন।
 
রবার্ট বঢরা বলেছেন, ‘আমরা ইডি-কে বলেছিলাম যে আমরা আমাদের নথি প্রস্তুত রাখছি, আমি এখানে আসার জন্য সবসময় প্রস্তুত। আসলে আমি যখন দেশের পক্ষে কথা বলি, তখনই আমাকে থামিয়ে দেওয়া হয়, রাহুলকে সংসদে কথা বলতে বাধা দেওয়া হয়। বিজেপি এটা করছে।এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। মানুষ আমাকে ভালোবাসে এবং চায় আমি রাজনীতিতে যোগ দিই।’ এদিন ইডি অফিসে পৌঁছে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বঢরা। তাঁদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তিনি আশা করছেন যে – ‘আজই বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।’ 
 
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করি, তখনই আমাকে নিচে নামানোর জন্য এবং আসল সমস্যাগুলি থেকে সরে আসার জন্য পুরনো বিষয় গুলি তুলে ধরে। এই মামলার কোনও সারবত্তা নেই। গত ২০ বছরে আমাকে ১৫ বার তলব করা হয়েছে এবং ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ২৩,০০০ নথি প্রস্তুত করা তো সহজ কাজ নয়।’
 
ইডি আধিকারিকদের দাবি, নির্দিষ্টভাবে এই মামলাটিতে তাঁকে এই প্রথম সংস্থার তরফে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হল। ২০১৮ সালে হরিয়ানা পুলিশ এই ঘটনায় যে এফআইআর দায়ের করেছিল, তার ভিত্তিতেই এই তলব বলে জানা গিয়েছে। ইডি তার তদন্তও শুরু করেছে সেই এফআইআর-এর ভিত্তিতেই।
প্রসঙ্গত, এই পুরো ঘটনার কেন্দ্রে রয়েছে ২০০৮ সালের একটি আর্থিক লেনদেন যেটি করা হয়েছিল ওই বছরেরই ফেব্রুয়ারি মাসে। শিকোহপুর গ্রামে ওঙ্কারেশ্বর প্রপার্টিজ নামে এক সংস্থার কাছ থেকে ৩.৫ একরের একটি জমি ৭.৫ কোটি টাকার বিনিময়ে কিনেছিল রবার্ট বঢরার সংস্থা – স্কাইলাইট হসপিট্যালিটি প্রাইভেট লিমিটেড। অভিযোগ হল, সেই জমির মিউটেশন করানো হয়েছিল মাত্র ২৫ ঘণ্টার মধ্যে। ইডি-র অভিযোগ, ওই জমি ৭.৫ কোটি টাকায় কিনে রিয়েল এস্টেট সংস্থা ডিএলএফ-কে ৫৮ কোটি টাকায় বিক্রি করেছিলেন বঢরা ।রবার্ট ভদ্রের স্কাই লাইট হসপিট্যালিটি বিকানিরের কোলায়াতের দরিদ্র গ্রামবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য জমি অধিগ্রহণ করেছিল।