হেমন্ত সোরেনের দিল্লির বাড়িতে ইডির হানা 

Written by SNS January 29, 2024 4:17 pm

দিল্লি, ২৯ জানুয়ারি – ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের দিল্লির বাড়িতে হানা দিল ইডি। সূত্রের খবর,  জমি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তহবিল তছরুপের মামলায় মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এখন দিল্লিতেই রয়েছেন হেমন্ত সোরেন।  উল্লেখ্য, এর আগে ৯বার ইডির তলব পেয়েও তা এড়িয়ে যান হেমন্ত। দশমবার তলবে ২৯ থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল।  কিন্তু  তিনি কোনও জবাব দেননি। সোমবার তাঁর বাড়িতেই পৌঁছে যায় ইডি।

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের দিল্লির বাড়িতে সোমবার সকালে পৌঁছে যান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। জমি দুর্নীতির টাকা হাওয়ালা মারফত পাচারের মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশমবার নোটিস দিয়েছে ইডি।  ২৯ থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। এদিন ইডির তরফে হেমন্ত সোরেনকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।  

এই মামলায় এর আগে ৯ বার হেমন্তকে সমন পাঠিয়েছে ইডি। প্রত্যেকবারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি । ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর মতে, তাঁর সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে কেন্দ্র। সেই জন্যই বারবার ইডিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই যুক্তি দেখিয়েই টানা ৯ বার সমন এড়িয়ে যান তিনি । গত ২৭ জানুয়ারি তাঁকে দশমবার সমন পাঠায় ইডি। সোমবার অথবা বুধবার তাঁকে ইডি দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়। কিন্তু সেই সমনের কোনও জবাব দেননি হেমন্ত।

দিল্লিতে সোরেনের সরকারি বাসভবনে ইডির অভিযানের পরেই হৈহৈ শুরু হয়ে যায় খড়খণ্ডের সচিবালয়ে।  ঝাড়খণ্ডের মুখ্যসচিব সব প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং অন্যান্য দফতরের সচিবদের জরুরি বৈঠক ডাকেন। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।  

চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি প্রথমবার হেমন্ত সোরেনের বয়ান রেকর্ড করা হয়। ওই দিন মুখ্যমন্ত্রীর রাঁচীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল তদন্তকারী দল। প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চলে। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় হেমন্তকে। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের অধীনে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়।  সেইদিন জিজ্ঞাসাবাদ সম্পূর্ণ না হওয়ার কারণেই ফের সমন পাঠানো হয়েছিল। সূত্রের খবর, তহবিল তছরুপের মামলায় জেরা করা হতে পারে হেমন্তকে। 

হেমন্ত সোরেন রাঁচির বারিয়াতু এলাকায় একটি জমি দুর্নীতি মামলায় ইডির নজরে রয়েছেন।  প্রায় ৯ একরের ওই জমিতে ১২ টি প্লট রয়েছে। জমিটি অবৈধভাবে ঘিরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ।  ইডি ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল প্রথম তল্লাশি অভিযান চালায় আয়কর বিভাগের আধিকারিকের বাড়িতে সেখানে একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়।  সেখান থেকেই এই জমি দুর্নীতির বিষয় প্রকাশ্যে আসে।