‘জমির বিনিময়ে চাকরি’ মামলায় চার্জশিট দিল ইডি  চার্জশিটে নাম রাবড়ি দেবী ও লালুর দুই কন্যার    

Written by SNS January 9, 2024 6:23 pm

দিল্লি, ৯ জানুয়ারি –  লোকসভা ভোটের  আগে চাপে  লালুপ্রসাদ যাদব এবং তাঁর পরিবার। ভারতীয় রেলের ‘জমির বিনিময়ে চাকরি’ মামলায় প্রথম চার্জশিট দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই চার্জশিটে লালুর পরিবারে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় প্রত্যেক সদস্যের নাম রয়েছে। চার্জশিটে লালুপ্রসাদ যাদবের স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং তাঁদের কন্যা মিসা ভারতী এবং হেমা যাদবের নামও রয়েছে।

মোট ৪ হাজার ৭৫১ পাতার ওই চার্জশিটে লালু পরিবারের ৪ সদস্যের পাশাপাশি নাম রয়েছে যাদব পরিবারের ঘনিষ্ঠ অমিত কাত্যালের। গত বছর নভেম্বরে এই মামলায় অমিত কাত্যালকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এছাড়া, চার্জশিটে নাম রয়েছে হৃদয়ানন্দ চৌধুরী এবং দুটি প্রতিষ্ঠানের। দিল্লির পিএমএলএ -আদালতে ওই চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। ১৬ জানুয়ারি শুনানির জন্য মামলাটি তালিকাভুক্ত করেছে আদালত।

২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু যাদব। সেই সময় তিনি বিহারের বহু যুবককে জমি এবং টাকার বিনিময়ে রেলের ‘গ্রুপ-ডি’ পদে চাকরি দিতেন এই অভিযোগ ওঠে । ২০২২ সালের ১৮ মে সিবিআই একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় দাবি করা হয়, এক বেসরকারি সংস্থার নামে সম্পত্তি কিনে তার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধেও ।পরে সেই সম্পত্তি বাজারদরের থেকে কমে কিনে নিয়েছিলেন লালুর পরিবারের সদস্যরা। সেই মামলাতেই চার্জশিট পেশ করা হল ।

 
‘ঘটনার তদন্তে ২০২২ সালের ২০ মে সিবিআই পাটনা, দিল্লি-সহ দেশের মোট ১৫টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় । এর পর অগস্টে অভিযান চালানো হয় আরজেডির একাধিক নেতার বাড়িতে। ওই বছরের ২২ অক্টোবর ‘জমির বদলে চাকরি’ দুর্নীতি মামলায় লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। চার্জশিটে রাবড়ি, মিসা এবং হেমার নামও ছিল। এ ছাড়াও আরও ১২ জনের নাম ছিল সিবিআই চার্জশিটে। সেই মামলা এখন বিচারাধীন।
 
এই মামলায় ইতিমধ্যেই বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব এবং লালুপ্রসাদ যাদবকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। এবার পরিবারের বাকি সদস্যদের নামও চার্জশিটে উঠে এল। তবে এই মামলায় সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে লালু যাদবের পরিবার। তাঁদের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করছে বিজেপি।