• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

রবার্ট বাড্রার বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপ মামলায় ফের চার্জশিট ইডির

ইডি জানিয়েছে, ২০১৬ সালে আয়কর বিভাগের অভিযানে ভাণ্ডারির অফিস ও বাসভবন থেকে উদ্ধার হওয়া নথি, ই-মেল ও চুক্তিপত্রই তদন্তের ভিত্তি।

নিজস্ব গ্রাফিক্স চিত্র

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অর্থ তছরুপ মামলায় কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধির জামাই ব্যবসায়ী রবার্ট বাড্রার বিরুদ্ধে নতুন করে চার্জশিট দাখিল করেছে। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা ব্যবসায়ী সঞ্জয় ডাণ্ডারির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন ও বিদেশে সম্পত্তি গোপন করার অভিযোগে এই চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

বুধবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’-এর আওতায় এই অভিযোগপত্র পেশ করেছে ইডি। সংস্থার দাবি, চলতি বছরের জুলাই মাসে বাড্রার বিবৃতি রেকর্ড করা হয় এবং সেই তথ্য বিশ্লেষণ করেই চার্জশিট প্রস্তুত করা হয়েছে।

Advertisement

ইডির অভিযোগ, সঞ্জয় ভাণ্ডারির বিদেশি লেনদেন ও সম্পত্তি ক্রয়ের সঙ্গে বাড্রার যোগাযোগ ছিল। প্রসঙ্গত, ভাণ্ডারি ২০১৬ সালে ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে তাঁকে ‘পলাতক আর্থিক অপরাধী’ হিসেবে ঘোষণা করে দিল্লির একটি আদালত।

Advertisement

ইডি জানিয়েছে, ২০১৬ সালে আয়কর বিভাগের অভিযানে ভাণ্ডারির অফিস ও বাসভবন থেকে উদ্ধার হওয়া নথি, ই-মেল ও চুক্তিপত্রই তদন্তের ভিত্তি। সেই নথিগুলিতে বাড্রা ও তাঁর সহযোগীদের কিছু লেনদেনের উল্লেখ পাওয়া গিয়েছিল।

ইডির দাবি, ভাণ্ডারির মাধ্যমে রবার্ট বাড্রা মোট ৫৮ কোটি টাকা ‘অপরাধমূলক লভ্যাংশ’ হিসেবে পেয়েছিলেন। এর মধ্যে ৫৩ কোটি টাকা এসেছে ‘স্কাই লাইট হসপিটালিটি’-র মাধ্যমে এবং পাঁচ কোটি টাকা ‘ব্লু ব্রিজ ট্রেডিং’-এর মাধ্যমে। এই অর্থ দিয়ে বাড্রা নাকি বিভিন্ন স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়, বিনিয়োগ, ঋণ প্রদান এবং তাঁর সংস্থাগুলির দেনা শোধ করেছেন।

এছাড়া ইডি মোট ৪৩টি স্থাবর সম্পত্তি এই মামলার সঙ্গে সংযোজন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে— রাজস্থানের বিকানেরে জমি, গুরগাঁওয়ের গুড আর্থ সিটি সেন্টারের কয়েকটি ইউনিট, মোহালির বেস্টেক বিজনেস টাওয়ারের অফিস স্পেস এবং আহমেদাবাদের জয় আম্বে টাউনশিপের আবাসিক ইউনিট।

ইডির দাবি, এই সম্পত্তিগুলি সরাসরি অপরাধের অর্থ দিয়ে কেনা হয়েছে, অথবা এগুলি অপরাধমূলক লভ্যাংশের সমপরিমাণ মূল্যের সম্পত্তি।

Advertisement