এবার থেকে অক্ষম ভোটারদের আর কষ্ট করে বুথে গিয়ে লাইনে দাঁড়ানোর ঝক্কি সামলাতে হবে না। ফলে বুথে পৌঁছতে গিয়ে পড়তে হবে না বাড়িতে কোনও রাজনৈতিক সংঘর্ষের মধ্যেও। নির্ঝঞ্ঝাটে ঘরে বসেই মোবাইলে ভোট দিতে পারবেন নাগরিকরা। এই উদ্দেশ্যে বিহারের ছয় পুরসভার ভোটে পাইলট প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, সামনেই রয়েছে বিহার বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে পাটনা-সহ বিহারের তিন জেলার ছয় পুরসভার নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে এই ই-এসইসিবিএইচআর পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিহার রাজ্য নির্বাচন কমিশন একটি বিশেষ অ্যাপ তৈরি করেছে। যেটা ব্যবহার করে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে না গিয়েও বাড়ি বসেই ভোট দিতে পারবেন।
গত শুক্রবারই বিহার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার দীপক প্রসাদ ঘোষণা করেছিলেন, আগামী ২৮ জুন ছ’টি পুরসভার নির্বাচনে ই-ভোটিং ব্যবস্থা চালু করা হবে। পুর নির্বাচনের সময় পাইলট প্রকল্প হিসাবে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের লক্ষ্য ভোটকেন্দ্রে পৌঁছতে অক্ষম ব্যক্তিদের ভোটদান সহজ করা।
দীপক প্রসাদ জানিয়েছেন যে, এই অ্যাপে শক্তিশালী ডিজিটাল সিকিউরিটি সিস্টেম রয়েছে। ইতিমধ্যেই ১০ হাজার ভোটার ই-ভোটিংয়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন এবং ৫০ হাজার ভোটার ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে না গিয়েই ই-ভোটিংয়ের মাধ্যমে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
জানা গিয়েছে, ই-এসইসিবিএইচআর নামে নতুন ই-ভোটিং সার্ভিস অ্যাপে জালিয়াতি রোখার ব্যবস্থাও রয়েছে। যার জন্য প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য ভোটকেন্দ্রে পৌঁছতে অক্ষম ব্যক্তিদের ভোটদান প্রক্রিয়া সহজ করা। বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা, অভিবাসী শ্রমিক এবং অন্যান্যরা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই এই সুবিধাটি চালু করা হচ্ছে।
কিন্তু কীভাবে এই বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভোট দেবেন ভোটাররা? এ প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, ব্লকচেন প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোটগুলি একটি নিরাপদ, অপরিবর্তনীয় সিস্টেমে রেকর্ড ও সংগ্রহ করা হয়। এই অ্যাপটি ফেস অথেনটিকেশন এবং ম্যাচের মাধ্যমে লগইন করতে হবে। একটি মোবাইল নম্বর থেকে মাত্র দু’জন ভোটার লগ-ইন করতে পারবেন। প্রতিটি ভোট ভোটার আইডি বিবরণ দিয়ে বৈধতা নিশ্চিত করা হবে। এ ছাড়াও এই সিস্টেম ভোটারদের পরিচয় যাচাই করতে পারে। ইভিএম স্ট্রংরুমে ডিজিটাল লক করতে পারে। ডিজিটাল স্ক্যানিং এবং ওসিআর অর্থাৎ অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিকগনিশন ভোটের সঠিক গণনা করতে পারে। ইভিএমে ভোটার ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রেল বা ভিভিপিএটি-র মতো অডিট ট্রেল ভোট ট্র্যাক করতে সহায়তা করে।