হায়দরাবাদের হাসপাতালে করোনা রোগীর হাতে আক্রান্ত ডাক্তার

দেশে ফের চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা। এবার হায়দ্রাবাদে করোনাভাইরাস রোগীর হাতে মার খেলেন এক রেসিডেন্ট ডাক্তার।

Written by SNS Hyderabad | April 3, 2020 11:33 pm

প্রতিকি ছবি (Photo: IANS)

দেশে ফের চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা। এবার হায়দ্রাবাদে করোনাভাইরাস রোগীর হাতে মার খেলেন এক রেসিডেন্ট ডাক্তার । শুক্রবার শহরের গান্ধী হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটেছে। আক্রমণকারী হাসপাতালেও ভাঙচুর চালায়।

করোনা আতঙ্কে যখন প্রতিটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দরজা ভক্তদের জন্য বন্ধ তখনও চূড়ান্ত ঝুঁকির মধ্যে দাঁড়িয়ে মানুষকে নিরলস পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী-সহ জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। সমাজের জন্য, মানুষের জন্য তাদের এই অবদানকে কুর্ণিশ জানাচ্ছে গোটা দেশ। তার মধ্যে হায়দরাবাদে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় কোথাও একটা ছন্দপতন ঘটল।

তেলেঙ্গানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী এতেলা রাজেন্দের জানিয়েছেন, করোনায় আক্রান্ত একই পরিবারের দুই সদস্যকে হায়দরাবাদের গান্ধী হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। এর মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়। বুধবার হাসপাতালের রেসিডেন্ট ডাক্তারকে আক্রমণ করেন মৃতের আত্মীয় অন্য করোনা আক্রান্ত রোগী। হাসপাতালের দরজায় ভাজুর চালানো হয়।

হাসপাতালের নতলার বিশেষ করোনা ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। গোটা ঘটনার নিন্দা করে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছে, কোনও অবস্থাতেই বিষয়টাকে আমরা হালকাভাবে নিচ্ছি না। আক্রমণকারীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে চিকিৎসকরা যখন আমাদের বাঁচাচ্ছেন তখন তাঁদের রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।

এদিকে চিকিৎসকের উপর রোগীর আক্রমণের ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন হাসপাতালের চিকিৎসক এবং চিকিৎসাকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও ক্ষোভ উগরে দেয়।

পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছ শহরের পুলিশ কমিশনার। সেখানে ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। পুলিশের তরফে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এদিনের অপ্রীতিকর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গান্ধী হাসপাতালের নিরাপত্তা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বুধবার রাত পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় এ দেশে আরও ৪৩৭ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮৩৪ জন। এর মধ্যে ১৪৪ জন সম্পূর্ণ হয়ে উঠেছেন।