শুধু জ্যোতি মালহোত্রা নয়, পূর্বে পাকিস্তানের গুপ্তচরদের প্রণয়ের ফাঁদে পড়েছিলেন আরও এক ভারতীয় নারী। তিনি আবার ছিলেন ভারত সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মচারী।
পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই জন্মের পর থেকে ভারতের তরুণ প্রজন্মকে যেন নিজেদের নিশানায় রেখেছে, বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছেলে মেয়েদেরকে তারা বেশি কাজে লাগায়। ১৯৭১-এ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই যেন হিংসার আগুনে জ্বলছে আইএসআই। তারপর থেকেই সেভেন সিস্টার্স হোক বা ছত্তিশগড়ের জঙ্গল, কাশ্মীরের পাহাড় বিভিন্ন জায়গায় ভারত বিরোধী মনোভাব তৈরি করার এক অদ্ভুত চেষ্টা করেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা। তারা বিভিন্ন অল্প বয়সী ছেলে মেয়েকে হানিট্র্যাপের জালে ফাঁসিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে। এবার ভারত পাক সংঘর্ষের আবহে বেশ কিছু তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য।
Advertisement
পাক গুপ্তচরদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা। সেই আবহে আবার ফিরে এল মাধুরী গুপ্তের স্মৃতি। মাধুরী ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের সচিব ছিলেন। তিনি পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। ২০১৮ সালের মে মাসে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। চার্জশিটে জানা গিয়েছিল, বয়সে ছোট এক পাক গুপ্তচরের প্রণয়ের ফাঁদে পা দিয়েই তথ্য পাচার করেছিলেন বিদেশ মন্ত্রকের এই মহিলা সদস্য।
Advertisement
মাধুরী যে দেশদ্রোহিতার মতো জঘন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন, সাউথ ব্লক তার প্রথম আভাস পায় ২০১০ সালে। মুম্বই হামলার বছর দেড়েক পর ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই কমিশনের কাছে প্রথম এক ‘চর’-এর খবর আসে। সে সময় ভারতের গোয়েন্দা বিভাগ (আইবি)-র প্রধান ছিলেন রাজীব মাথুর। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সে খবর দেয় ইসলামাবাদের ভারতীয় হাই কমিশন।
Advertisement



