রাজ্যসভায় শোরগোল। রাজ্যসভায় কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির সিট থেকে উদ্ধার টাকার বান্ডিল। শুক্রবার এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তারপরেই উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার তদন্ত হবে। এদিকে সিঙ্ঘভির দাবি, বৃহস্পতিবার তিনি যখন রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন, তখন তাঁর কাছে মাত্র ৫০০ টাকা ছিল।
শুক্রবার রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হতেই উপস্থিত সদস্যদের চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় গোটা ঘটনার কথা জানান। তিনি বলেন, অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পর তল্লাশি চলানো হচ্ছিল। প্রতিদিনই নিয়মমাফিক তল্লাশি চালানো হয়। ২২২ নম্বর আসনটি কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির জন্য নির্দিষ্ট। ওই আসন থেকে টাকার বান্ডিল উদ্ধার হয়েছে।
Advertisement
ধনখড় বলেন, ২২২ নম্বর আসন থেকে টাকার বান্ডিল উদ্ধার হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি আমাকে জানানো হয়। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। গোটা ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের তরফেও তদন্ত দাবি করা হয়েছে। সাংসদের নাম ধনখড় নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস।
Advertisement
এদিকে গোটা ঘটনার কথা শুনে রীতিমতো অবাক অভিষেক। তিনি বলেন, এ জাতীয় ঘটনা প্রথম শুনলাম। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৭ মিনিটে রাজ্যসভায় ঢুকি। ১টায় অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। অযোধ্যা প্রসাদের সঙ্গে ক্যান্টিনে ছিলাম। বেলা দেড়টা নাগাদ সংসদ থেকে বেড়িয়ে যান বলে দাবি করেছেন সিঙ্ঘভি।
সিঙ্ঘভি বলেন, ওই আসনে কীভাবে টাকা এল, তা খতিয়ে দেখা উচিত। এই বিষয়ে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন সিঙ্ঘভি। গোটা বিষয়টি রাজ্যসভার অ্যান্টি সাবোতেজ কমিটিতে পাঠানোর কথা ঘোষণা করেন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়।
Advertisement



